আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মারধর
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল, সাবেক মেয়র তাপসসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম ইব্রাহীম খলিল।
মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও শেখ মো. মোরশেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক আবদুর নূর দুলাল ও মমতাজ উদ্দিন ফকির, আইনজীবী তানজীব উল আলম, আইনজীবী খন্দকার রেজা–ই–রাকিব, মোতাহার হাসেন, মেসবাহুর রহমান, মনিরুজ্জামান, ওজিউল্লাহ, আজহারুল্লাহ ভূঁইয়া, ওয়াকিলুর রহমান, সৌমিত্র সর্দার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ, সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক উপকমিশনার মোহাম্মদ মমিন, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ, জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মাসুম, সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুক ও বায়েজীদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা আসামির তালিকায় রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩–২৪ নির্বাচন বানচাল করার জন্য গত বছরের ১৫ মার্চ আনিসুল হক, শেখ ফজলে নূর তাপস ও এ এম আমিন উদ্দিনের নির্দেশে আসামিরা বিএনপি সমর্থক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মারধর করেন। সেদিন আইনজীবী আসামিরা ও ১০০ জন পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে ঢুকে পড়েন। পরে বিএনপি সমর্থক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটারদের এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। তখন বিএনপি সমর্থক সদস্য প্রার্থী আইনজীবী কাজী মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিবাদ করেন। তখন এডিসি হারুন অর রশীদসহ পুলিশ সদস্যরা মোস্তাফিজুর রহমানকে মেঝেতে ফেলে দেন। এরপর বুট জুতা দিয়ে তাঁকে পিষ্ট করা হয়। পরে আইনজীবী মাহবুবুর রহমানসহ তিন শতাধিক আইনজীবীকে মারধর করা হয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, সেদিন পুলিশ ও আসামিদের যৌথ লাঠিচার্জে এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আক্তারসহ অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।