রেফ্রিজারেটরের বাজার কত বড়?
মো. নুরুল আফছার: বর্তমানে বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের বাজার টাকার অঙ্কে সাড়ে সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকা। বার্ষিক গড় বাজার সম্প্রসারণের হার ১০-১৫ শতাংশ।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিক্রি কেমন?
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দুই জায়গাতেই রেফ্রিজারেটরের বিক্রি ভালো। তবে বেশির ভাগ রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয় কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। ঈদুল ফিতরেও বেশ কিছু রেফ্রিজারেটরে চাহিদা বাড়ে, তবে তুলনামূলকভাবে এ বছর রেফ্রিজারেটর বিক্রি খুব একটা চোখে পড়ার মতো নয়। তবে আশা করা যাচ্ছে, দু–এক দিনের মধ্যেই এটি বাড়বে।
অনেক সময় দেখা যায়, রেফ্রিজারেটরে খাবার রাখলে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। এটির সমাধান কী?
মো. নুরুল আফছার: আসলে রেফ্রিজারেটরে আমরা অনেক ধরনের খাবার রাখি। একেক খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ একেক রকম। যেহেতু রেফ্রিজারেটরের ভেতরে জায়গা অনেক কম, সেহেতু ব্যাকটেরিয়ার কারণে এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে মিক্সড হয়ে যায়। আমরা কনকা রেফ্রিজারেটরে সংযোজন করেছি অ্যাকটিভিটেড কার্বন ডিওডোরাইজার প্রুযুক্তি। এর কারণে কনকা ফ্রিজের মধ্যে রাখা খাবার একটার সঙ্গে আরেকটা গন্ধ মিক্সড হয় না।
দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে ক্রেতাদের আস্থা কেমন?
মো. নুরুল আফছার: বর্তমান বাংলাদেশে দেশি ব্র্যান্ডের ফ্রিজের প্রতি মানুষের আস্থা সবচেয়ে বেশি। কারণ, আমাদের দেশের মানুষ সব সময় চিন্তা করে সাধ্যের মধ্যে একটি ভালো মানের রেফ্রিজারেটর। যেটা একমাত্র বাংলাদেশে তৈরি রেফ্রিজারেটরের মাধ্যমেই এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বিদেশি ব্র্যান্ডের দাম বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরে। দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরে একদিকে যেমন বিদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি হালনাগাদ করা হচ্ছে, তেমনিভাবে দামও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। যার কারণে দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের প্রতি মানুষের আস্থা সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন :
এখন কী প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর–ফ্রিজার বেশি চলছে?
মো. নুরুল আফছার: বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি ব্যস্ত। যার কারণে এক সপ্তাহ বা ১৫ দিনের বাজার একসঙ্গে করে ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করেন। পাশাপাশি এই খাবার বা সবজি যেন সতেজ থাকে, সে দিকটাও বিবেচনা করছে এটাকে কেন্দ্র করেই প্রযুক্তি হালনাগাদ করা হচ্ছে। যেমন কনকা রেফ্রিজারেটরে রয়েছে গার্ডেন ফ্রেশ প্রযুক্তি। যার কারণে ফ্রিজে থাকা সবজিগুলো বাগানের মতোই সতেজ থাকে দীর্ঘদিন। কনকা ফ্রিজে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা শতভাগ ফুড গ্রেড এবং আমেরিকান এফডিআই কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত। ভেজিটেবল বক্সের মধ্যে হিউমিডিটি কন্ট্রোল সিস্টেম আছে, যাতে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দরজা খুলে অনেক সময় মানুষ চলে যায় বা ভুলে যায়, সে জন্য আমাদের ফ্রিজ ৬০ সেকেন্ড পরে অ্যালার্ম বাজবে। বাংলাদেশে আমরাই এই প্রযুক্তি প্রথমে নিয়ে এসেছি।
ফ্রিজ নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. নুরুল আফছার: আমাদের গবেষণাকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কাজ হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি আমরা নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও যে ধরনের চাহিদা তৈরি হবে, তা মেটানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।