সাবেক মন্ত্রী তাজুল ও আবেদপুত্র সোহানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

মো. তাজুল ইসলামফাইল ছবি

সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লায় তাজুল ইসলামের ৬২টি দলিলের মাধ্যমে কেনা সম্পদ ও তিনটি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আদালত তাঁর ৩৪টি ব্যাংক হিসাব ও ১৮টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, তাজুল ইসলাম পাবলিক সার্ভেন্ট হয়ে অপরাধমূলক আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে ৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জমা হয়। তোলা হয়েছে ৬৬ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

আবেদ আলীর ছেলে সোহানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদক জানিয়েছে, মাদারীপুরে সোহানুর রহমানের জমি ও একটি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

৭ এপ্রিল সৈয়দ আবেদ আলীর মাদারীপুরের জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। তাঁর ১৪টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিমল কৃষ্ণের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি টাকা জমা হওয়ার তথ্য পেয়েছে দুদক। তোলা হয় ৩১ কোটি টাকা। এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আবার রন হক ও রিক হকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তাঁর ভাই রিক হক সিকদারসহ ১৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।

বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অপর ১১ জন হলেন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আলম আহাম্মেদ, হরিদাস বর্মন, আরিফ মো. শহিদুল হক, এস এম বুলবুল, এম এ ওয়াদুদ, চৌধুরী মুশতাক আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, খলিলুর রহমান, জাকারিয়া তাহের ও মাররুর হোসেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ রন হক সিকদার, তাঁর ভাই রিক হকসহ ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।