নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে না
নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে শুনানি করে মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে আজ রোববার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, যা দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। আমরা বাধ্য না হলে মূল্যবৃদ্ধি করব না। প্রয়োজন হলে কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
ফাওজুল কবির বলেন, বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ আইনের অধীন চলমান সব কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে দায়মুক্তির বিধান নামে পরিচিত এই বিশেষ আইনে ইতিমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো বহাল থাকবে এবং চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ, যেহেতু চুক্তি হয়ে গেছে, তাই চাইলে তা বাতিল করা যাবে না। এ জন্য আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে হবে।
আইনটি বাতিল করার বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকবে।
বিশেষ আইনে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলোর ট্যারিফ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। ফাওজুল কবির বলেন, আগের সরকারের সবকিছু বাতিল করতে হবে, এমন নয়। যেসব কাজ ভালো, তা বহাল থাকবে। যেসব প্রকল্প অপ্রয়োজনীয়, সেগুলো বাদ যাবে। কারণ, সরকারে ধারাবাহিকতা তো বজায় রাখতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক বিবেচনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ রয়েছে, তাঁদের বিষয়ে কেনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির বলেন, ‘সবাইকে তো ঢালাওভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। কাজের জন্য লোক লাগবে। কেউ আগে অনিয়ম করলে তাঁকে একটা সুযোগ দিতে হবে। আমি কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছি, আগের মতো নিজেদের মনমতো কাজ করবেন, তেমন হবে না। এখন ভাবতে হবে, কোন কাজটি করলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে, সেভাবে কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ব্যয় সংকোচন। জনস্বার্থ ও জনপ্রত্যাশা রক্ষা করাই হবে আমাদের মূল কাজ।’ গ্যাস–সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সামিটের টার্মিনালটি চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় জানতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।’