জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধের হুমকি
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলেছে, ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি না মানলে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পেট্রলপাম্পে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখবে। সরকারি সংস্থার কাছ থেকে জ্বালানি তেল (ডিজেল, পেট্রল, অকটেন) কিনে তা বিভিন্ন ডিপো ও পেট্রলপাম্পে পরিবহন এবং গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে এই দুই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
সংগঠন দুটি আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার অনুষ্ঠিত দুই সংগঠনের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম। সাধারণ সভায় সারা দেশ থেকে তিন শতাধিক পেট্রলপাম্প মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এটি পেট্রলপাম্প মালিকদের একাংশের সংগঠন। এর বাইরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউশন, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন আছে। এটা পেট্রলপাম্প মালিকদের পুরোনো ও বড় সংগঠন হিসেবে পরিচিত। জ্বালানি তেল পরিবহনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামেও একটি সংগঠন আছে। দাবি আদায়ে এই দুই সংগঠনের কোনো কর্মসূচি আছে কি না, তা জানা যায়নি।
বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি করে ২০ পয়সা কমিশন পায় পেট্রলপাম্প। এটি বাড়িয়ে বিক্রয় দামের সাড়ে ৭ শতাংশ করার দাবি তাদের। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দাবি রয়েছে তাদের।
পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক দফা বৈঠকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সরকার তাদের দাবি না মেনে কালক্ষেপণ করছে। শেষ পর্যন্ত সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
সভায় আরও বক্তব্য দেন ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল, খুলনা বিভাগের সভাপতি আবদুল গফ্ফার বিশ্বাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, সভাপতি মো. শাহজাহান প্রমুখ।
সরকার অনুমোদিত পরিবেশকদের নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনে থাকা তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এ জ্বালানি তেল কিনে নিয়ে পরিবেশকেরা নিজস্ব পেট্রলপাম্প থেকে ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করে গ্রাহকের কাছে।