শাহবাগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় লংমার্চ করল গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের একাংশ

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের একাংশ শাহবাগ মোড় থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ করে। ১৯ ফেব্রুয়ারিছবি: তানভীর আহাম্মেদ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের একাংশ ও তাদের স্বজনেরা তিন দফা দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পর্যন্ত লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছেন। লংমার্চ শেষে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে জানিয়ে লংমার্চকারীরা বলেন, আগামী সাত দিন তাঁরা কোনো কর্মসূচি দেবেন না।

এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে তাঁরা লংমার্চ শুরু করেন। লংমার্চ নিয়ে তাঁরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যান।

আলোচনায় অংশ নেওয়াদের একজন রনি মিয়া বলেন, ‘দুপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সাতজনের একটি প্রতিনিধিদল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে প্রান্তিক এলাকার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুবিধার্থে টোল–ফ্রি হটলাইন সেবা চালু করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। অন্য দুটি দাবি তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখবেন। এ জন্য সাত দিন সময় নিয়েছেন তাঁরা। এই সময় পর্যন্ত আমরা আর কোনো কর্মসূচি দেব না। ’

লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, সরকার ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’—এই তিন ক্যাটাগরি করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছে। ‘সি’ ক‍্যাটাগরিতে ‘এ’ ও ‘বি’-এর মতো সুবিধা রাখা হয়নি। এটি খুবই বৈষম্যমূলক।

লংমার্চকারীদের দাবি, আহত সবাইকে ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা দিতে হবে। ক‍্যাটাগরি হবে দুটি। আহত ও গুরুতর আহত। আহত সবাইকে সরকারি ভাতার আওতায় আনতে হবে।