‘গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার অংশ এবং রাষ্ট্রের মালিক হতে পারার রাজনৈতিক দলিল হিসেবেই নতুন সংবিধান দরকার। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রগঠনে আমাদের যে সামাজিক চুক্তি, তা স্পষ্ট করতে হবে। সংবিধান হতে হবে সব মানুষের সম্পৃক্ততায়। বর্তমান সংবিধান সংশোধন বা পুনর্লিখনের প্রশ্ন উঠেছে কারণ, সাধারণ মানুষ সংবিধানে তাঁর সম্পৃক্ততা খুঁজে পাচ্ছে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘নতুন সংবিধান ও ফ্যাসিস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশের নয়া গঠন’ শিরোনামে এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন লেখক রিফাত হাসান।
এ ছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ, শিক্ষক মোকাররম হোসেন, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক জাহেদুল আলম ও স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির আহ্বায়ক জুবাইরুল হাসান। সূচনা বক্তব্য দেন স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির সদস্য অর্বাচীন আব্দুল্লাহ।
বক্তারা বলেন, ‘এই সংবিধান নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে, কথা হয়েছে। ৫০ বছর আগে সংবিধান রচনা করা হয়েছে। সেখানে ৫০ বছর পরের অবস্থা বিবেচনা করা হয়নি। সংবিধান রচনায় জনগণের কণ্ঠস্বর উঠে আসেনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বুঝেছে, এই সংবিধানে নানা ধরনের ফাঁকফোকর রয়েছে। আমাদের নতুন সংবিধান দরকার। সেটি হতে হবে সব মানুষের কথা বিবেচনা করে।’
বক্তারা বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। এই বিচার বিভাগের নিয়োগপ্রক্রিয়াও সাংবিধানিক করা প্রয়োজন।