কয়লা এসেছে, আবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরছে পায়রা
কয়লা আসায় পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আবার উৎপাদনে ফিরছে।
আজ শুক্রবার জাহাজ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। আগামী রোববার থেকে কেন্দ্রটির আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট মিলে উৎপাদনের সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কয়লা না থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন ৫ জুন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ডলার-সংকটে বিল বকেয়া থাকায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে দ্রুত কয়লা আনার ব্যবস্থা করা হয়।
বিসিপিসি সূত্র জানায়, ৪০ হাজার টন কয়লা নিয়ে প্রথম জাহাজটি আজই এসেছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজটির চলে আসার কথা।
তিন বছর আগে উৎপাদনে আসে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। তারপর এবারই প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেড়ে যায় লোডশেডিং। এর আগে ডলার-সংকটে কয়লা কিনতে না পেরে দুই দফায় বন্ধ হয়েছিল বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন উৎপাদনে রয়েছে।
বিসিপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম জাহাজ থেকে আজ কয়লা নামানো শুরু হয়েছে। পরশু থেকে (রোববার) বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এখন থেকে কয়লার জাহাজ নিয়মিত আসতে থাকবে। তাই এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা নিয়ে আপাতত কোনো আশঙ্কা নেই।’
বিসিপিসির একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রটি দিনে গড়ে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল। কয়লা না থাকায় গত ২৫ মে কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়। এরপর ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাকি ইউনিট থেকে দিনে ৩০০ থেকে ৬২০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল। এভাবে ২ জুন পর্যন্ত চালানোর কথা ছিল। তবে উৎপাদন কমিয়ে দুই দিন বাড়তি চালানো হয়। ৫ জুন উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিসিপিসি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ডলার-সংকটে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের কয়লা বিল বকেয়া পড়ে। এ কারণে কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। পরে বকেয়ার ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। আবার কয়লা সরবরাহ শুরু করতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে রাজি করানো হয়।