সচিবালয়ে আগুনে পুড়েছে পাঁচ মন্ত্রণালয়
তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একাধিক কমিটি।
আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ট্রাকচাপায় নিহত।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচটি মন্ত্রণালয়। বুধবার দিবাগত রাত প্রায় দুইটার দিকে নয়তলা একটি ভবনে লাগা এই আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের টানা ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ভবনটির চারটি তলায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় মো. সোহানুর জামান নামে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
সচিবালয় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর (কেপিআই) একটি। এখানে নজিরবিহীন এই ভয়াবহ আগুনের উৎস এখনো জানা যায়নি। রাজনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ এই আগুনের পেছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করলেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভায় ঘটনার তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রধানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। পরে এই কমিটি বাতিল করা হয়।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পৃথক কমিটি করেছে। এসব কমিটির বড় কাজ হবে ক্ষতি নিরূপণ করা।
গত বুধবার ছিল বড় দিনের ছুটি। এ দিন গভীর রাতে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে ৭ নম্বর ভবনে। এই ভবনে রয়েছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগসহ আরও কিছু দপ্তর। তবে, আগুনের ঘটনায় ছয়, সাত, আট ও নবম তলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পায় গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে মোট ১৯টি ইউনিটের ২১১ জন কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
সচিবালয়ের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের একটি স্টেশনে রয়েছে। সেখানকার একাধিক কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, আগুন লাগার প্রথম খবর দেন পুলিশের এক কনস্টেবল। তিনি ফায়ার স্টেশনে এসে জানায় সাত নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলার পশ্চিম পাশে আগুন লেগেছে। খবর শুনে পাঁচজন ফায়ার ফাইটার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (এক্সটিংগুইশার) নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ষষ্ঠ তলায় আগুন নেভাতে গিয়ে তাঁরা দেখেন ভবনের মাঝখানে ও পূর্বপাশে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে সদর দপ্তরসহ ঢাকার বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন।
সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন পুরোপুরি নিভেছে বেলা পৌনে ১২টায়।
পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলের আশপাশে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিল।
আগুনের কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো সেটা জানা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভানোর পর তদন্তে বিষয়টি জানা যাবে।’
পরে সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, তাঁরা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও তদন্তের পর আগুনে লাগার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আসবাব পুড়ে কয়লা, নথিপত্র ছাই
গতকাল ভোর ছয়টার দিকে সচিবালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের একদিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাচ্ছেন তো, অন্যদিকে আবার দাউ দাউ করছে আগুন। দেখে মনে হয় একই ভবনে দুই দিকে আগুন জ্বলছে। সকাল সাড়ে ৯টায় ৭ নম্বর ভবনের চারপাশে দেখা যায়, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জানালার ভাঙা গ্লাস। ভবনের চারদিকে ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি। কয়েকটি কবুতর মরে পড়ে আছে।
ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক কর্মী ইমরান শিকদার এই আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সকাল আটটার দিকে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিতে তিনি ও তাঁর এক সহকর্মী নিচতলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে আটতলায় ওঠেন। ভবনে ঢোকার সময় পুড়ে যাওয়ার ঝাঁজালো গন্ধ পান। এ সময় কালো ধোঁয়া বের হচ্ছিল। তাতে তাঁর চোখ জ্বলছিল।
ভবনটির ছয়তলা থেকে আগুনে পোড়ার দৃশ্য দেখতে পান জানান ইমরান শিকদার। তবে তাঁদের দায়িত্ব ছিল ৮ ও ৯ তলায়। আটতলায় ফাইলপত্র রাখার অসংখ্য কেবিনেট, আসবাবপত্র পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আর নথিগুলো পুড়ে ছাই হয়ে মেজেতে স্তূপ হয়ে আছে। সেগুলো থেকেও ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ভবনের দেয়ালের টাইলস ও আস্তর পুড়ে মেজেতে পড়ে আছে। ঝুলন্ত পাখা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের (এসি) তারগুলো পুড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এ সময় পুড়ে যাওয়া বাক্সবন্দী ফাইল পত্র থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। এ রকম বাক্সে পানি ছিটিয়ে কিছু ফাইল বের করে আনেন। কিন্তু সেগুলোরও অর্ধেকটা পুড়ে গেছে। তবে হতাহত কাউকে পাননি তাঁরা।
৮ তলার বারান্দায় একটি কুকুর পুড়ে অঙ্গার হয়ে পড়েছিল জানিয়ে ইমরান শিকদার বলেন, পরে সেটি নামিয়ে আনা হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা আগুন নিভিয়ে ফেলার পর নিচে নেমে আসেন। ৬ ও ৭ তলায় তাঁর অন্য সহকর্মী আগুন নেভান।
ফায়ার সার্ভিসের আরেক অগ্নিনির্বাপক কর্মী ইউসুফ শেখ বলেন, আগুন এমনভাবে ছড়িয়েছে, তা ধারণার বাইরে ছিল।
বেলা ১১টার দিকে পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল দেখে আসা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কক্ষ, করিডরসহ অধিকাংশ কক্ষ, সেখানকার নথিপত্র ও কম্পিউটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল। তাদের একটি সূত্র জানায়, ষষ্ঠ থেকে নবম তলা পর্যন্ত বেশির ভাগ করিডর, কাঠের আসবাবপত্র ও নথিপত্র পুড়ে গেছে। অল্প কয়েকটি কক্ষ অক্ষত দেখেছে। এর মধ্যে একটি কক্ষের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) ও ডিভিআর অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
সিআইডির অপরাধ শনাক্ত করণ দলের পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, ডিভিআর দেখে আগুন লাগার উৎস জানার চেষ্টা করবেন তাঁরা। কাঠের পোড়া অংশ, কাচের গলিত অংশসহ বিভিন্ন পোড়া জিনিসপত্র আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। এসবের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে। কোনো গান পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকলে তা পরীক্ষায় বেরিয়ে আসবে।
আগুনে লাগার ঘটনার কারণে গতকাল সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়। একটি ফটক দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ফলে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
আগুন নেভাতে এত সময় কেন
সচিবালয়ের মতো একটি জায়গায় আগুন নেভাতে এত সময় লাগার কারণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেছেন, আগুন নেভাতে গিয়ে তাঁদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সচিবালয়ের ফটক দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে ঢোকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের দুটি টার্নটেবল লেডার (টিটিএল) ভেতরে ঢুকতে পেরেছে। যদি আরও বেশি টিটিএল ঢুকতে পারত, তাহলে আরও আগে আগুন নেভানো সম্ভব হতো।
সচিবালয়ে ঢোকার মোট ফটক পাঁচটি। তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার ফটক আছে মাত্র দুটি। এই দুই ফটক দিয়েও ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, সচিবালয়ের ৪ নম্বর ফটক দিয়ে ঢুকতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভেঙে গেছে।
আগুন নেভানোর কাজ শেষে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সচিবালয় থেকে বের করতেও বেশ সমস্যা হয় বলে জানান কর্মকর্তারা। গাড়ি বের করতে গিয়ে দেয়ালের কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার একটি বড় কারণ হলো, কাঠ বা পার্টিকেল বোর্ড দিয়ে সরকারি দপ্তরগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনের (ইন্টেরিয়র) কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সময় মন্ত্রণালয়ের কক্ষগুলো ছিল বন্ধ। তালা ভেঙে, জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। আবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের কলাপসিবল গেট কেটে ভেতরে ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন। এসব কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু, তদন্ত পর্যন্ত অপেক্ষা
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর গতকাল সকালে সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আদিলুর রহমান খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ফারুক ই আজম, এম সাখাওয়াত হোসেন, নূরজাহান বেগম ও শারমীন এস মুরশিদ।
এই ঘটনায় পরে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠিত হয় বলে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই তদন্ত কমিটিকে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এই আগুনের ঘটনা দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গতকাল দিনভর নানা সন্দেহের কথা বলেছেন। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।’ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর এই বক্তব্য উল্লেখ করা হয়। এর আগে এ নিয়ে ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দেন তিনি।
ফেসবুকে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কিছু অর্থনৈতিক অসংগতি পেয়েছেন। সেটার বিস্তারিত তদন্ত এখনো চলছে। প্রথমে তাঁর ধারণা হয় যে, সেই তদন্তের যে ফাইলগুলো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা ষড়যন্ত্র কিনা-ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকেও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নটা আপনার মতো আমাদেরও। কারণ, বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিজস্ব একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা কি আদৌ ফেইল (ব্যর্থ) করেছে, এটা কি কোনো মানবসৃষ্ট বিপর্যয় নাকি এটা অন্য কোনো বিপর্যয়-এগুলোর উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সব কটা সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছি।’