বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) দুই শিক্ষক। তাঁরা হলেন আইইউবিএটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সভাপতি গোলাম রাসুল এবং পুরকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র পাল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ের সম্প্রতি যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করেছে। গোলাম রাসুল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সুভাষ চন্দ্র পাল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে ৮০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
সুভাষ চন্দ্র পাল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্নাতকোত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আইইউবিএটিতে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এলসেভিয়ার জার্নাল অব এডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং লেটারস এবং হিন্দাউই জার্নাল অব অ্যাডভান্সেস ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য এবং চারটির বেশি জার্নালের পর্যালোচক।
সুভাষ চন্দ্র বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, কংক্রিটের ক্ষয় ও স্থায়িত্ব, ন্যানো পার্টিকেলস এবং থ্রিডি কংক্রিট প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে অগ্রগতি নিয়ে গবেষণা করেন। আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা এম আলিমউল্যা মিয়ানের নামে প্রতিষ্ঠিত মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আওতায় ২০২০ এবং ২০২১ সালে শ্রেষ্ঠ গবেষক হিসেবে সম্মাননা পান তিনি।
আইইউবিএটির এই দুই শিক্ষকের সাফল্য উদ্যাপনে গতকাল বুধবার মিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আইইউবিএটি সভাকক্ষে বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য আবদুর রব, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক লুৎফর রহমান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, পরিচালক, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা পাওয়া দুই শিক্ষকের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপাচার্য আবদুর রব বলেন, গবেষণা দীর্ঘ পরিশ্রমের কাজ, ধৈর্যের কাজ। তবে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে লেগে থাকলে এ কাজে সফল হওয়া সম্ভব। গবেষণার শুরুতেই যেন কেউ হাল না ছেড়ে দেয়, বরং নিজের ভুল থেকে শিখে বারবার চেষ্টা করতে হবে। আইইউবিএটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও উচ্চমানের গবেষক তৈরি করতে চায়।