বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় পুলিশের অভিযান
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে গুলশান থেকে আটক করা হয়।
বিএনপি জানিয়েছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বাসায় তল্লাশি ও অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ সকাল নয়টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাঁর বাসা থেকে নিয়ে যায়। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
সকাল নয়টার দিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসায় দুটি ফ্ল্যাটে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তবে সে সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু সাংবাদিকদের বলেন, সকালে ডিবি সদস্যরা এসে তাঁর বাবাকে খুঁজতে তল্লাশি চালান। তাঁরা বাসার প্রতিটি কক্ষ খুঁজে দেখেন। তিনি জানান, ডিবি সদস্যরা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পাসপোর্ট এবং তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোন নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর সেগুলো ফেরত দেন।
ইসরাফিল আরও বলেন, তাঁর বাবা কোথায় আছেন, তা ডিবি সদস্যরা জানতে চেয়েছেন। পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রথম আলোকে বলেন, ইশরাক হোসেনের গুলশানের বাসায় ডিবি অভিযান ও তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তাঁকে না পেয়ে তাঁর ছোট ভাই ইশফাক হোসেন ও গাড়িচালক রাজীবকে নিয়ে গেছেন ডিবি সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দিন দিদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মির্জা আব্বাসের শাজাহানপুরের বাসায় দুপুরে ডিবির সদস্যরা ঘেরাও করে রেখেছেন। তবে মির্জা আব্বাসকে বাসায় না পেয়ে ডিবি ফিরে যায়।
এর আগে আজ ভোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিলেন উল্লেখ করে শামসুদ্দিন দিদার বলেন, সকালে তাঁরা চলে যান।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ সকালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের লালমাটিয়ার বাসায় সাদাপোশাকের পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তিনি বাসায় ছিলেন না।
বিএনপির নেতাদের বাসায় তল্লাশি ও অভিযানের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। ডিবি পুলিশ এটা বলতে পারবে।
অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ডিবির কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।