যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি, তদন্ত কমিটি গঠন
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে ওই শিক্ষককে অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেন। এর আগে গত বৃহস্পতি ও বুধবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মুজাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে তাঁরা বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু ওই শিক্ষক তাঁর আচরণ পরিবর্তন করেননি। নারী শিক্ষকেরাও তাঁর হয়রানি শিকার। মানসম্মান হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, মুজাহিদুল ইসলাম যত দিন কলেজে থাকবেন, তত দিন ছাত্রীরা যৌন হয়রানির শিকার হবেন। ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তাঁকে কলেজ থেকে অপসারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর শাস্তির দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার মুজাহিদুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই দিন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তাঁর প্রতিনিধিকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, কমিটি প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত বর্ণনা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নিয়ম অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তাঁর একজন প্রতিনিধিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে সভা করে ওই শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।