নোয়াখালী-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে তাঁর করা রিটটি আজ বুধবার সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আর নোয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবদুল মান্নানের করা অপর রিটটি গতকাল সরাসরি খারিজ করে দেন একই বেঞ্চ।
নোয়াখালী-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। ঋণখেলাপির অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ৩ ও ৪ ডিসেম্বর ওই দুই আসনে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে পৃথক আপিল করেন তিনি, যা ১৩ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন।
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গতকাল নোয়াখালী-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে করা রিটটি আজ খারিজ করে দেন। আদালতে মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মঈন ফিরোজী। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ শফিক মাহমুদ।
ইসির আইনজীবী শেখ শফিক মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রিট খারিজ হওয়ায় মেজর (অব.) আবদুল মান্নান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রইল।
তবে মান্নানের আইনজীবী মঈন ফিরোজী প্রথম আলোকে বলেন, মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।