সাক্ষাৎকার

ফ্রিজের বাজার এখন ১১-১২ হাজার কোটি টাকা

এখন শহর বা গ্রামের সাধারণ আয়ের পরিবারেও ফ্রিজ থাকে। আর এই পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে দেশীয় ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলো। দেশের অভ্যন্তরে প্রতিবছর ২৫-৩০ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি হয়। সাধারণত এ বাজার বছরে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। আর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে। দেশীয় ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলোর ফ্রিজের বাজার নিয়ে কথা বলেছেন যমুনা গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মনিকা ইসলাম

প্রথম আলো:

বাংলাদেশে এখন রেফ্রিজারেটরের বাজার কত বড়?

মনিকা ইসলাম: দেশে রেফ্রিজারেটরের বাজার এখন ১১-১২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বছরে এই বাজারের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫-২০ শতাংশ।

প্রথম আলো:

বিক্রয়োত্তর সেবা আসলে বড় ব্যাপার। আপনার প্রতিষ্ঠান কীভাবে বিষয়টি দেখে?

মনিকা ইসলাম: যমুনা রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করার খুব অল্প সময়ের ভেতরেই মানুষের মুখে এমন কথা প্রচলিত হয়ে গেছে যে একমাত্র যমুনাই গুণগত মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর সরবরাহ করে। ফলে যমুনার পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয়-পরবর্তী ভোক্তার অভিযোগের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। বিক্রয়োত্তর সেবা ইলেকট্রনিকস পণ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশব্যাপী বিস্তৃত আমাদের সার্ভিস সেন্টারগুলোতে ক্রেতা সহজে বিক্রয়–পরবর্তী সেবা নিতে পারবেন।

প্রথম আলো:

অনেক সময় দেখা যায় রেফ্রিজারেটরে খাবার রাখলে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। এটির সমাধান কী?

মনিকা ইসলাম: প্রথমত, একটা ভালো মানের রেফ্রিজারেটর আপনার এ সমস্যা দূর করতে পারে। যমুনা রেফ্রিজারেটরে রয়েছে আলট্রা-মাইক্রো ফোমিং ইনসুলেশন প্রযুক্তি, যা ফ্রিজের অভ্যন্তরে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ধরে রাখায় খাবার সংরক্ষণের পরেও খাবার থাকে প্রকৃতির মতোই সতেজ ও টাটকা।

প্রথম আলো:

কম দাম বা সস্তা হলেই খারাপ—এটি রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের বেলায় কতটুকু খাটে?

মনিকা ইসলাম: আমি আগেই বলেছি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়ায় দেশীয় রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে, এ বিষয়টিও রেফ্রিজারেটরশিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যুক্তিসংগত মূল্যে টেকসই পণ্য, গুণগত মান, দেশের মানুষের চাহিদা এবং আবহাওয়া উপযোগী পণ্যের কারণে রেফ্রিজারেটরের বাজারের ক্ষেত্রে দেশি ব্র্যান্ডগুলো বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। ক্রেতারাও স্থায়িত্ব, ডিজাইন, পাওয়ার সেভিং সিস্টেম, কম্প্রেসর, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেন। সুতারং দাম বেশি বা বিদেশি ব্র্যান্ড হলেই রেফ্রিজারেটর ভালো কিংবা দাম কম হলে খারাপ বিষয়টি তেমন নয়।

প্রথম আলো:

উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ কতটা ঘটান?

মনিকা ইসলাম: ইনোভেশন বা উদ্ভাবন যেকোনো প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজার চাহিদা ও ভোক্তাদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি আমরা, আর যে কারণে আমাদের ব্র্যান্ডের মূল কথা ‘ইনোভেশন ফর স্মার্টার লাইফ’। উৎপাদনের প্রথম দিন থেকেই যমুনা রেফ্রিজারেটর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত কাঁচামাল, দক্ষ জনবল দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করছে। রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, যার ফলে আমাদের ফ্রিজে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয় হয় এবং খাবারের মান সঠিক থাকে।