আরেক মামলায় রিমান্ডে জিয়াউল আহসান ও সাদেক খান

ঢাকার আদালতে জিয়াউল আহসানফাইল ছবি

এবার রাজধানীর আদাবরে জাকির নামের এক যুবককে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই আদেশ দেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জিয়াউল আহসান ও সাদেক খানকে কড়া নিরাপত্তায় আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। তাঁদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে তাঁদের হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন
সাদেক খান
ছবি: সংগৃহীত

শুনানির শুরুতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আদাবরে জাকির হত্যায় জিয়াউল আহসান ও সাদেক খানের সংশ্লিষ্ট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অন্যদিকে জিয়াউল আহসান আদালতের কাছে দাবি করেন, তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন।

সাদেক খান আদালতের কাছে দাবি করেন, তিনি অসুস্থ। ঘটনার সময় তিনি দেশে ছিলেন না।

উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জিয়াউল আহসান ও সাদেক খানকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

আরও পড়ুন

১৬ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়। পরদিন তাঁকে নিউমার্কেট থানায় করা হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেদিন এ মামলায় তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

রিমান্ড শেষে জিয়াউল আহসানকে ২৪ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুজন কলেজছাত্র হত্যার ঘটনায় করা পৃথক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ দুই মামলায় তাঁর পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে ২৪ আগস্ট গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরদিন তাঁকে মোহাম্মদপুর থানায় করা ট্রাকচালক সুজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।