নিম্নমানের ইভিএম কিনে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে দুদক

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)প্রতীকী ছবি

নিম্নমানের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়ের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার এ অভিযান চালায় দুদক।

আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনগুলো নির্বাচন কমিশন প্রধান কার্যালয়, ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত আছে। মেশিনগুলো অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন

আক্তার হোসেন আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে থাকা ৬১৮টি মেশিনের মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কয়েকটি মেশিনের ‘অপারেশনাল ক্যাপাসিটি’ (কার্যদক্ষতা) যাচাই করা হয়। এতে মেশিনগুলোতে ত্রুটি দেখা যায়, যা নিম্নমানের মেশিন কেনার ইঙ্গিত দেয়। দুদক টিমের সঙ্গে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরাও মেশিনগুলো ‘মানসম্মত নয়’ বলে মতামত দেন।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক জাফর ইকবাল ও অন্য বিশেষজ্ঞরা কেন আগে ইভিএমকে ভোটের জন্য যথাযথ মনে করেছিলেন, সেটি এখন খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, রোববারের অভিযানে সংগৃহীত অভিযোগসংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনার পর দুদকের এনফোর্সমেন্ট দল পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

আরও পড়ুন

২০১০ সালে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএমের ব্যবহার শুরু হয়। এর প্রসার শুরু হয় ২০১৮ সালে। শুরু থেকেই এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক আছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গী কয়েকটি দল ইভিএমে ভোট করার পক্ষে ছিল। অন্যদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশির ভাগ দলের মধ্যে ইভিএম নিয়ে সন্দেহ, অবিশ্বাস কাজ করছে।

২০১৮ সালে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল নির্বাচন কমিশন। এসব যন্ত্রের আয়ু্ষ্কাল হওয়ার কথা ১০ বছর। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যে এক লাখের বেশি ইভিএম অকেজো হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন