আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে হচ্ছে আলাদা ইউনিট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিত করতে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা বিশেষ ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট করাসহ কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আহত ছাত্র-জনতা নানাভাবে আহত হয়েছেন এবং তাঁদের অনেকেরই অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তাঁদের অস্ত্রোপচার–পরবর্তী সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে স্পেশালাইজড বিভাগে চিকিৎসক নার্স এবং রোগীর বৈধ প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এসব ইউনিটে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন। স্পেশালাইজড ইউনিটগুলোতে রোগীর স্বজন বা বৈধ প্রতিনিধি পরিচালকের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকবেন। এটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অতি জরুরি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরী ও মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল আলম প্রমুখ।
চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে।’
এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করতে অনুরোধ জানানো হয়। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন আহত আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে আগামীকাল রোববার বৈঠক করবে।