বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তিনি এ কথা বলেন। ‘রূপসী বাংলা’ শিরোনামে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন যে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের সঙ্গে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।’
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম নতুন জোট ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠনের ঘোষণা দিয়ে ভোটে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। অবশ্য এর কিছুক্ষণ পরই তাঁদের বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় বিএনপি।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। একটি দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও বহু দল নির্বাচনে অংশ নেবে, বিএনপির নেতারাও অংশ নেবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের ভরাডুবি হবে। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেখুন, ২০১৪ সালেও নির্বাচন প্রতিহত করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল, তারা পারে নাই। ২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিল, সেটিও পারে নাই। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় অনেক কম।’
ডোনাল্ড লুর চিঠি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বৈশ্বিক অঙ্গনেও সন্ত্রাস দমনের পক্ষে একযোগে কাজ করছি। তাদের পরামর্শকে আমরা অবশ্যই মূল্য দিই। আমাদের কাছে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর পরামর্শের অবশ্যই মূল্য আছে। পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হয়, আমরা নিই।’
সংলাপ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো সংলাপ নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপি বলেছে এখন সংলাপের কোনো পরিবেশ নাই। আমরা অবশ্যই সংলাপের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।’
হাছান মাহমুদের সঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।