এসির দরদাম

এসিপ্রতীকী ছবি

ঘনিয়ে আসছে গ্রীষ্মকাল, বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাজারে বাড়ছে এসির চাহিদাও। কিন্তু এসি তো আর যখন-তখন কিনে ফেলা সম্ভব নয়। কেনার আগে যাচাই–বাছাই করতে হয়, মানের সঙ্গে দাম মেলাতে হয়। একটা সময় এসিকে বিলাস পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতেন অনেকে। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এসিকে বিলাস পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। শহর থেকে শুরু করে মফস্​সল, সব জায়গাতেই এসি কেনার প্রবণতা বাড়ছে। 

বাসাবাড়িতে ব্যবহার করার জন্য রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক ক্ষমতার এসি কেনা জরুরি। ভুল ক্ষমতার এসি কিনলে শুধু বিদ্যুৎ বিলই বাড়বে না, কমে আসবে এসির কার্যক্ষমতাও। সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ বর্গফুট জায়গার জন্য ১ টন এসির প্রয়োজন হয়। সক্ষমতা অনুযায়ী বাজারে এখন ১ টন থেকে শুরু করে ৫ টন পর্যন্ত এসি পাওয়া যায়। নুরুল আফসার আরও জানান, ইলেক্ট্রোমার্টের প্রায় ৬০টি মডেলের এসি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সক্ষমতা অনুযায়ী ৫২ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এসিগুলো। 

অন্যদিকে ক্রেতাদের জন্য এসি কেনা সহজ করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাদের ওয়েবসাইটে গেলে খুঁজে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এসি। রুমের আয়তন, ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং সূর্যের আলো কতটুকু পড়ে, সে অনুযায়ী কোন এসি ভালো হবে; তা বলে দেবে তারাই। বর্তমানে ওয়ালটনের বিভিন্ন সিরিজের ১ ও ২ টন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।

অন্য দেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ভিশন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৪৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭৪ হাজার টাকায়। যমুনা ব্র্যান্ডের এসির মূল্য শুরু ৪৫ হাজার টাকা থেকে। ১ টন থেকে শুরু করে ৪ টন এসি পাওয়া যাচ্ছে মিনিস্টার শোরুমে। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার এসি আছে তাদের সংগ্রহে। 

তবে ক্রেতাদের মধ্যে বিদেশি এসির মোহ এখনো বিদ্যমান। ক্রেতাদের মধ্যে গ্রি ও জেনারেল এসির জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। দামের দিক থেকেও দেশিদের টেক্কা দিচ্ছে তারা। বাজারে ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ১০ টাকার গ্রী এসি পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে ৪৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জেনারেল এসি পাওয়া যায় বাজারে। ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় মিডিয়া এসি, ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে হাইয়ার কোম্পানির এসি।