গণ-অভ্যুত্থানের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলা একাডেমি

বাংলা একাডেমিছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ১১ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর অনুমতি বাতিল বাংলা একাডেমির’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আজ বুধবার বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। এতে ওই প্রতিবেদনে মারাত্মক তথ্যবিভ্রান্তি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির প্রতিবাদে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেদনে আয়োজকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র “দ্য রিমান্ড”-এর বিশেষ প্রদর্শনী-পরবর্তী আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল বাংলা একাডেমিতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুমতি বাতিল করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। প্রকৃত তথ্য হলো “রেডপোস্ট ক্রিয়েশনস”-এর পক্ষ থেকে ১১ জানুয়ারি মুক্ত আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন ভাড়া নেওয়ার যে আবেদন জানানো হয়, সেখানে আয়োজকেরা একাডেমিকে কোনোভাবেই অবহিত করেননি যে প্রদর্শিতব্য “দ্য রিমান্ড” চলচ্চিত্রটি এখন পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র লাভ করেনি।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলা একাডেমি তার প্রাঙ্গণে বা মিলনায়তনে সরকারি ছাড়পত্রবিহীন কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অধিকার সংরক্ষণ করে না। তাই একাডেমির পক্ষ থেকে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের আগের দিন অর্থাৎ (১০ জানুয়ারি) এখন পর্যন্ত ছাড়পত্রহীন চলচ্চিত্রটি ওই দিন প্রদর্শন না করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে একই দিন তাদের নির্ধারিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের অনুমতি বহাল রাখা হয়।

‘আয়োজকেরা তাতে সম্মত হয়েও ১১ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে একাডেমি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি বাতিল করেছে বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। বস্তুতপক্ষে, একাডেমি প্রাঙ্গণে বা মিলনায়তনে যথাযথ বিধি অনুসরণ করে কোনো আলোচনা সভা বা অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদান ব্যতীত এ ধরনের আয়োজনে বাংলা একাডেমির কোনোরূপ ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।’

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে ভুলভাবে উদ্ধৃত করে ‘সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বাতিল করা হয়েছে’ মর্মে আরও একটি অসত্য তথ্য মুদ্রিত হয়েছে। প্রকৃত অর্থে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের ছাড়পত্র প্রদানের এখতিয়ার সম্পূর্ণভাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। এই চলচ্চিত্র প্রদর্শন বাতিলের ক্ষেত্রে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় কিংবা এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই।