ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মো. শোহান শাহ (২৭) মারা যান।
শোহানের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন, রাজধানীর রামপুরার একটি পোশাক কারখানায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন তাঁর ছেলে। শোহান বিএনপির কর্মী ছিলেন।
এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলি, সংঘর্ষ ও নানা ধরনের সহিংসতায় গত ১৬ জুলাই থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে কমপক্ষে ৭৫৯ জনের মৃত্যু হলো। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ঘটনাস্থলে, আবার কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরায় আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন শোহান। পিঠে গুলি লাগে তাঁর। পরে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে গত শুক্রবার তাঁকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা গেলেন শোহান।
শোহানের মরদেহ আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরা সিএনজি পাম্প এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শোহান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় সিএমএইচে মারা যান তিনি।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চণ্ডীখালী গ্রামের কৃষক শাহ সেকেন্দারের ছেলে শোহান। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি রোডের হাজীপাড়ায় স্ত্রীসহ থাকতেন তিনি।