নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট ওই ঘটনা নিয়ে তিন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালককে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত–আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ১০ জুলাই রিটটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যালএইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি ও সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি। ১৪ জুলাই রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন হাইকোর্ট ছুটির পর নিয়মিত আদালত খুললে ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য প্রতিকার বিষয়ে রিট আবেদনকারীপক্ষকে যথাযথ আবেদন নিয়ে আসতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন ও অনীক আর হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শারমিন আকতার ও এ এম জামিউল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশতাধিক। আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তাঁর চার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ১০ জুলাই আবুল হাসেম, তাঁর চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাসেম ও তাঁর চার ছেলে এবং অন্যরা জামিনে মুক্তি পান।