সাংসদদের নামে পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দের সুযোগ নেই: গণপূর্তমন্ত্রী
সংসদ সদস্যদের নামে পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এসব বাড়ি কেবল মাত্র যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ ও বিক্রি করার বিধান আছে।
আজ মঙ্গলবার সংসদে সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। এ সংক্রান্ত প্রশ্নে সেলিনা বেগম জানতে চান, সাংসদের মধ্যে পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হবে কি না?
প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী আরও জানান, ঢাকা শহরে পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যা ছয় হাজার ৪৬৮ টি। এর মধ্যে ২৪৩টি বাড়ি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য সংরক্ষিত। দুই হাজার ৬৯৭টি বাড়ি বিক্রি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এক হাজার ১৫টি বাড়ি অবমুক্ত করা হয়েছে।
মনোয়ারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন জানান, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকার ১২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রাজউক চিহ্নিত করেছে। এসব ভবন অপসারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ চাওয়া হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ভবনগুলোর অংশ বিশেষ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাজী নাবিল আহমদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্তি করা হবে। মন্ত্রী জানান, বিগত মহাজোট সরকারের মেয়াদে ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।
ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৭ হাজার ৫৫৮টি এবং এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছয় হাজার ৩৬ টি।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে শিক্ষিতের হার প্রায় ৭০ শতাংশ।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ১৫ হাজার ৮২৫টি পদ শূন্য রয়েছে।