মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট নয়: বিসিএসএম

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট নয়: বিসিএসএম
বাংলাদেশ
ট্যাগ:
ক্যাপশন: মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়। ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই হয়
ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় নতুন করে সিন্ডিকেট তৈরির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২০টি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম)। তারা বলেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট নয়। উন্মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে কর্মী পাঠাতে হবে। অভিবাসী শ্রমিকেরা কোনোভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন।

দ্রুত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দিতে দুই দেশের সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে বিসিএসএম। সংগঠনগুলো বলছে, অতীতে সিন্ডিকেটসহ যেসব কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছিল সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। বিসিএসএমের চেয়ার সি আর আবরার ও কো-চেয়ার সাইফুল হক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের খবর সবাইকে আশাবাদী করেছিল। কিন্তু চার মাস হয়ে গেলেও কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়নি। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের জনশক্তি ব্যবসায়ীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ আগের মতোই সীমিতসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে চায় বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

২০১৬ সালে সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ফলে অভিবাসন খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় প্রথমে ৩৭ হাজার এবং পরে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা অভিবাসন খরচ ধরা হলেও বাস্তবে তিন থেকে চার লাখ টাকা দিতে হয়েছে কর্মীদের। এতে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় ফিরে মাহাথির সরকার জিটুজি প্লাস পদ্ধতি বাতিল করে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ সরকার সীমিতসংখ্যক এজেন্সিকে কাজ দিতে পারে না বলে ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ার সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে বিসিএসএম বলেছে, সিন্ডিকেটের বদলে সবাইকে সমান সুযোগ দিয়ে স্বচ্ছ, নিয়মমুক্ত এবং নিরাপদ অভিবাসনের কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর খরচ এমনিতেই অনেক বেশি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি কর্মীকে বিদেশ যেতে সাড়ে ১৭ মাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তাই নতুন করে কোনো ধরনের অনিয়ম বা সিন্ডিকেট করা যাবে না।

২০ সংগঠন হচ্ছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু), বাসুগ-ডায়াসপোরা অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ওয়ারবে ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশি অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা), অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ), ইমা রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব অলটারনেটিভ ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (ইনাফি), বাংলাদেশ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (বিসিডব্লিউডব্লিউএফ), ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপ্সা), বোয়াফ, বাস্তব, রাইট যশোর, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন (ডেভকম) লিমিটেড, ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন, চেঞ্জ মেকারস, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (সিসিডিএ) ও কর্মজীবী নারী।

আরও পড়ুন