ভোর থেকেই মানুষের ঢল সমাবেশস্থলে
খুলনার দাকোপ থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় রওনা হয়েছিলেন মোস্তফা মোল্লা। আজ শনিবার ভোরে তিনি পৌঁছেছেন মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে হবে সমাবেশ। সেই সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জড়ো হওয়ার কথা আছে। কিন্তু ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে নেমেছে মানুষের ঢল। দক্ষিণের নানা প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন সমাবেশস্থলে। সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়ল এ দৃশ্য। নানা রঙের টি–শার্ট তাঁদের গায়ে। ঢোল-ঢাক-বাঁশি বাজিয়ে আসছেন তাঁরা। নাচতে নাচতে আসছেন, মিছিল করতে করতে আসছেন তাঁরা। অনেকের হাতে ব্যানার, ফেস্টুন।
এমন আরেকজন খুলনার পাইকগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক। গতকাল বিকেলে রওনা হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। আজ ভোরে এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আসতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ কষ্ট আনন্দের।’
আজ ২৫ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে ভাষণ শেষে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। অমনি খুলে যাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু। মাওয়া থেকে জাজিরা। পদ্মা সেতু সড়ক, রেল, গ্যাস, বিদ্যুতের সংযোগ ঘটাবে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের। নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে আছে সংযোগ সড়ক, রেল সংযোগ, নদীশাসন, পুনর্বাসন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা—নানা প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ জুনের সংবাদ সম্মেলনে জানান, পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২১ জুন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।