বিলবোর্ড সরাতে এক মাস সময় দিলেন মেয়র আনিসুল হক
আগামী এক মাসের মধ্যে সব ধরনের অবৈধ বিলবোর্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।
সেই সঙ্গে নতুন করে নগরের কোন রাস্তায়, কী ধরনের, কতটি বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে তার সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালা ও পরিকল্পনার জন্য বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের সংগঠন, নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রয়োজনে অন্যান্য সংস্থা এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘আউটডোর অ্যাডভারটাইজিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এ ঘোষণা দেন।
সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে যেখানে-সেখানে বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য ব্যবসায়ীরা এককভাবে দায়ী নন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথসহ যেসব কর্তৃপক্ষ এত দিন বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে এসেছে তারাও এর জন্য দায়ী। অনুমোদনদানকারী এসব কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছাড়াও কোন রাস্তায়, কী ধরনের, কতগুলো বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা কোনো কর্তৃপক্ষেরই ছিল না। এ ছাড়া যে যে শর্তে বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়, সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও নজরদারির অভাব রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর গবেষণাকেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সচিব ইকবাল হাবিব। তাঁরা প্রত্যেকেই জননিরাপত্তা ও সৌন্দর্য রক্ষার খাতিরে বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য নগরের কয়েকটি জায়গা নির্দিষ্ট করার প্রস্তাব করেন। এসব বিষয়ে একটি নতুন নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনার জন্য বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের সংগঠন, সিটি করপোরেশন, নগর পরিকল্পনাবিদ ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তাঁরা।
এসব আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র আনিসুল হক আগামী এক মাসের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা ও আইন প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
সেই সঙ্গে এক মাসের মধ্যেই সব ধরনের অবৈধ বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই এক মাসের মধ্যে ছাদের ওপরে হোক আর রাস্তায় হোক সমস্ত অবৈধ বিলবোর্ড আপনারা সরিয়ে ফেলবেন। সেটা যাদেরই হোক আর যার হোক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’