বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দিতে অনুরোধ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে। বিদেশগামী এসব শিক্ষার্থীর টিকাদানের তারিখ যাতে এগিয়ে আনা যায়, সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
টিকা দেওয়ার বিষয়টি সুরাহার জন্য আজ সকালেও বিদেশগামী বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশ যেতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের বিশেষ গ্রুপ হিসেবে অগ্রাধিকার দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়।

যদিও বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়। ওই নির্দেশনা জারির পর থেকেই বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন।

এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন দুপুরে তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় দেখতে হচ্ছে। চীনের নির্দেশনায় বলা আছে, যাঁরা সে দেশে পড়তে যাবেন, তাঁদের সিনোফার্মের টিকা নিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নীতিগত সম্মতি আছে। আমাদের হাতে চীনের টিকাও রয়েছে। আবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ইউরোপসহ পশ্চিমের অনেক দেশেই সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয়নি। সেখানে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। শুধু ফাইজার ও মডার্নার টিকা সেখানে প্রযোজ্য হবে। এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে বিদেশ যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আজ স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছি।’

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যাতে এসব শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়া নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশ যাওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা যাতে তাড়াতাড়ি টিকা পান, সেটিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমের দেশগুলোতে কত শিক্ষার্থী যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সঠিক সংখ্যাটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা এক থেকে দুই হাজার হতে পারে।

প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া এবং সুরক্ষা অ্যাপে তাঁদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে জুলাইয়ের ৪ তারিখ পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জেনে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ তথ্য জানতে চান।