বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের মঞ্চে মোদি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের আয়োজনে উপস্থিত হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে উপস্থিত হলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও উপস্থিত রয়েছেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ শিরোনামে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ শেষ দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।
টেলিভিশন, বেতার, অনলাইন মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে অনুষ্ঠানটি।
প্রথম পর্বে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেবেন মোদি। আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছার আগে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই উদ্যাপনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
এই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো উন্মোচন করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতের শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে নির্মিত নতুন রাগ ‘মৈত্রী’ পরিবেশন করা হবে। ‘পিতা দিয়েছে স্বাধীন স্বদেশ, কন্যা দিয়েছে আলো’ শীর্ষক থিমেটিক কোরিওগ্রাফি থাকছে অনুষ্ঠানে। আতশবাজি ও লেজার শোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের যবনিকা টানা হবে।
১০ দিনের এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী দিনে অতিথি ছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ। পরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।