পাইলট নওশাদের মরদেহ আসবে সকালে, দাফন বনানীতে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ ভারত থেকে দেশে আনা হবে বৃহস্পতিবার সকালে। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁকে বহনকারী বিমানের একটি ফ্লাইট দেশে পৌঁছানোর কথা আছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদকে দেশে আনার বিষয়ে বেশ কয়েকটি অপশন রাখা হয়েছে। একটি হলো-বিমানের কোনো ফ্লাইট জরুরি ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সেখানে নেমে তাঁকে নিয়ে আসা বা নিয়মিত ফ্লাইটে করে তাঁকে আনা অথবা বাংলাদেশ থেকে বিমানের একটি ফ্লাইট পাঠিয়ে আনা।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবগুলো অপশনই খোলা রাখা হয়েছে। যেটিতে সহজ হবে, সেটিতেই দ্রুত তাঁকে দেশে আনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী প্রথম আলোকে জানান, ভারতের সঙ্গে এখনো নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল হচ্ছে না। এ কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। এসব প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার প্রথম আলোকে সন্ধ্যায় জানান, বিমানের দোহাগামী একটি ফ্লাইট দেশে ফেরার পথে নাগপুরে থামবে। ওই ফ্লাইটটি ক্যাপ্টেন নওশাদকে বাংলাদেশে নিয়ে আসবে। সকালে ফ্লাইটটি পৌঁছানোর কথা আছে। তাঁকে বহনকারী ফ্রিজিং গাড়ি বিমানবন্দরের আট নম্বর গেট দিয়ে বের হবে।
তাহেরা খন্দকার বলেন, যত দূর জানা গেছে, ক্যাপ্টেন নওশাদকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।
ভারতের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ওমানের মাসকাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। ভারতের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হন। পরে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
পাইলট নওশাদ সর্বশেষ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ক্যাপ্টেন নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বিমানের আরেকটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করিয়ে ১৪৯ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন।