পশুশালা কিনতে অগ্রিম দেওয়া অর্থ অবশেষে ফেরত

হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর সম্পত্তি ‘পশুশালা’ কেনার জন্য অগ্রিম দেওয়া ৭০ লাখ টাকা পাঁচ বছর পর ফেরত পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। পশুশালার সেবায়েত দাবিদার লক্ষণ কান্তি দাশ গতকাল সোমবার দুপুরে ৭০ লাখ টাকার পে-অর্ডার ভারপ্রাপ্ত মেয়র এম জহিরুল আলমের হাতে তুলে দেন। করপোরেশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পশুশালার ১ দশমিক ৬০ একর জায়গা আট কোটি টাকায় কেনার জন্য ২০০৫ সালে লক্ষণ কান্তি দাশের সঙ্গে বায়না করেছিল। নিয়ম ভেঙে করপোরেশনের তহবিল থেকে এ অর্থ অগ্রিম ব্যয়ের বিষয়টি বরাবরই গোপন রাখা হয়েছিল।করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র জহিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পশুশালা কেনার জন্য অগ্রিম দেওয়া টাকা আমরা ফেরত পেয়েছি। এ টাকা পাওয়ায় সিটি করপোরেশন পশুশালা কেনা নিয়ে ঝামেলা ও বিতর্ক থেকে মুক্ত হলো।’ গতকাল হঠাৎ কেন জমির বিক্রেতা টাকা ফিরিয়ে দিলেন—জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, ‘তা বলতে পারব না।’জানা যায়, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০০৫ সালে নগরের গোলপাহাড় মোড়ে পশুশালা নামে ১ দশমিক ৬০ একর জায়গা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নামে কেনার উদ্যোগ নেন। এটি দেবোত্তর সম্পত্তি। ওই জমির সেবায়েত বলে দাবিদার লক্ষণ কান্তিকে করপোরেশন থেকে অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে পশুরক্ষক সমিতির পক্ষে প্রবীণ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট উভয় পক্ষকে পশুশালার জমির স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। মামলাটি এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিনোদ বিহারীর মামলার পর বায়নার টাকা ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় করপোরেশন। এ জন্য লক্ষণ কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করা হয়। কিন্তু লক্ষণ এত দিন টাকা ফেরত দেননি।