উৎসবের আমেজ নবাবগঞ্জ দোহারের খ্রিষ্টানপল্লিতে

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন আগামীকাল শুক্রবার। এ উপলক্ষে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ ১৮ গ্রামের খ্রিষ্টান পরিবারে চলছে সাজ সাজ রব। প্রতিটি বাড়ির সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। খ্রিষ্টানপল্লিগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ।
এ ছাড়া নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় জপমালা রানি গির্জা, গোল্লা এলাকায় সাধু সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ, তুইতাল এলাকায় পবিত্র আত্মা, বক্সনগর এলাকায় সাধু অ্যান্থনি গির্জা ও সোনাবাজু এলাকায় ফাতেমা রানি গির্জাসহ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পল্লিগুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। এসব এলাকার গির্জা ও উপধর্মপল্লিগুলোকে সাজানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোকসজ্জায়।
হাসনাবাদ এলাকার গৃহবধূ মমতা গোমেজ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড়দিন উৎসব উপলক্ষে দুই দিন আগে থেকে অতিথিদের জন্য পিঠাপুলি বানানো শুরু করেছি। এ ছাড়া আমাদের চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী নিজেদের বানানো কেক দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হবে।’
বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও জপমালা রানি গির্জার নিরাপত্তার প্রধান সমন্বয়কারী ফ্রান্সিস দিলীপ গোমেজ বলেন, নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পাঁচটি উপাসনালয়ে কোনো ধরনের সহিংসতারোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮টি পল্লিতে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার জপমালা রানি গির্জার ফাদার অমল ডি ক্রস বলেন, আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে যিশুখ্রিষ্টের জন্মোৎসব ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বড়দিনের উৎসবটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খ্রিষ্টানপল্লি ও উপাসনালয়গুলোতে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, গির্জা ও এর আশপাশের এলাকা এবং খ্রিষ্টানপল্লিগুলোতে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে এসব এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।