অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তালিকায় এবারও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ওয়েবসাইটে গত সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইতালিতে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৮ শতাংশই তিউনিসিয়ার নাগরিক। এরপরই বাংলাদেশিদের অবস্থান, ১৩ শতাংশ।
ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম আট মাসেও অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তালিকার ১ ও ২ নম্বরে ছিল যথাক্রমে তিউনিসিয়া ও বাংলাদেশ। গত বছর এ হার ছিল যথাক্রমে ৪১ ও ১৬ শতাংশ।
এবারের তালিকায় ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশী শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে তিউনিসিয়া ও বাংলাদেশ ছাড়াও আছে মিসর, আইভরি কোস্ট, ইরান, গিনি, ইরিত্রিয়া, মরক্কো, সুদান ও ইরাক।
ইউএনএইচসিআর জানায়, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৪৬ হাজার ৮৫০ জন ইতালিতে পৌঁছেছেন। গত বছরের একই সময়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১৫৮। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ইতালি পাড়ি দেওয়া মানুষের হার ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে লিবিয়া থেকে ১৯ হাজার ৭৮৩ জন এবং তিউনিসিয়া থেকে গেছেন ১৭ হাজার ৫৮৪ জন।
লিবিয়ায় আটকদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশিও
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ অভিমুখী অভিবাসী ও শরণার্থীর ঢল ঠেকাতে লিবিয়া অভিযান জোরদার করেছে। দেশটির কোস্টগার্ড গত রোববার পাঁচ শতাধিক যাত্রীবোঝাই একটি কাঠের নৌকা সাগরে আটক করেছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, ওই নৌকার যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশ, সুদান, সোমালিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন।