বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে করণীয়

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রছবি: প্রথম আলো

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ দায়মুক্তি আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যুৎ খাতে রাষ্ট্রীয় বাজেট লুট, অপচুক্তি ও দুর্নীতি বন্ধের আইনি প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। এ অবস্থায় দরকার মানহীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া। যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও উচ্চ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে অ্যাভেইলেবল বা সচল থাকতে পারে না, সেসবের চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন কিংবা বাতিল করা দরকার। ‘ডলার ড্রেনিং’ ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধ না হলে বিদ্যুৎ খাতের অতিরিক্ত বিলের বোঝা থেকে সরকার বাঁচবে না।

পাশাপাশি সরকার নতুন কূপ খননে উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ৪ বছরে ১০০ কূপ খোলার উদ্যোগ যাতে কাগুজে না থেকে যায়। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে বছরে ৫-৯টি নতুন অনুসন্ধান কূপ খনন হবে। শুধু উন্নয়নকূপে প্রাধান্য না পায় কিংবা উন্নয়নকূপকে অনুসন্ধান কূপ হিসেবে দেখানোর কারিগরি জালিয়াতি না হয়।

অ্যাসেট মোবিলাইজেশন ও ফুয়েল প্ল্যানিং

দেশের কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় সক্ষমতা উপকূলীয় এলাকায়। উপকূলীয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ী, বাঁশখালী) বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতার অভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের অব্যবহৃত কিংবা স্বল্প ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো মোবিলাইজ করে স্বল্প মেয়াদে এসব সমস্যা কাটানো যায়। এতে সরকার নিম্ন উৎপাদন খরচের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সর্বোচ্চ সুফল পাবে। এসব নতুন কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ ফার্নেস কেন্দ্র থেকে কম। উদাহরণ হিসেবে উৎপকূলীয় বিদ্যুতের ৪০০ কেভি আইল্যান্ড (পায়রা-আমিনবাজার এবং কক্সবাজার-মেঘনা ঘাট) থেকে মূল লোড সেন্টার ঢাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সুফল আনতে গেলে ৪০০ কেভি বাস থেকে বিদ্যুৎকে ২৩০ কেভিতে নামাতে হয়। কিন্তু এখানকার ট্রান্সফরমারগুলোর সক্ষমতা কম। অন্যদিকে গোপালগঞ্জে একই সক্ষমতার অলস ট্রান্সফরমার রয়েছে, অ্যাসেট মোবিলাইজেশনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার করে স্বল্প মেয়াদেই বেশ কিছু অর্জন সম্ভব।

সরকার আগামী বছরকে লক্ষ্য করে বিদ্যমান অ্যাসেটের সর্বোচ্চ সাশ্রয়ী ব্যবহারের ইউজকেইজগুলো সাজিয়ে একটা সমন্বিত জ্বালানি, পরিকল্পনা করতে পারে, যাতে কম উৎপাদন খরচকেন্দ্রিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেখানকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন, জ্বালানি পরিবহন থেকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি)—সবকিছু গুরুত্ব পাবে।

জ্বালানি অবকাঠামো এবং স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদান

কৌশলগত অর্থনৈতিক স্থাপনা হিসেবে বাংলাদেশের সব বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোর জোরদার নিরাপত্তা ও নজরদারি করা দরকার দ্রুত। এগুলোকে ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ বা কেপিআই স্থাপনা হিসেবে শনাক্ত করে ক্রিটিক্যাল জাতীয় সম্পদ বিবেচনা করুন। ব্যবস্থাপনা ত্রুটি কিংবা অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরনের কিংবা নাশকতা থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থা নিরাপদ করতে হবে। সম্প্রতি গভীর সমুদ্র থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে অপরিশোধিত তেল পরিবহনের দুটি জাহাজের একটিতে অগ্নিকাণ্ড কিংবা নাশকতা হয়েছে। এর আগে গ্যাস পাইপলাইনে সমস্যা হয়েছে। এরপর সাগরে এলপিজি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। পরপর এতগুলো ঘটনা জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্য হুমকি। এদিকে ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) নামের তেলের পাইপলাইন প্রকল্পটি নিষ্ক্রিয় পড়ে আছে অপারেটরের অভাবে। এই প্রকল্প চালু না হওয়ায় দুটি লাইটার জাহাজের মাধ্যমে তেল আনতে হচ্ছে ইস্টার্ন রিফাইনারির প্ল্যান্টে। এতে তেল খালাসের সময় বেশি।

আগামী গ্রীষ্মের স্বাভাবিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহকে লক্ষ্য করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, তেল গ্যাস সব ধরনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিবহনে দরকারি কারিগরি উদ্যোগ, ঋণপত্র খোলা এবং আর্থিক সংস্থাপন ব্যবস্থা নিতে হবে।

দুর্নীতিবান্ধব ক্রয়প্রক্রিয়ায় সংস্কার

কেন্দ্রীয় ক্রয় কমিটির (সিপিটিইউ) ভুল ও অদূরদর্শী পিপিএ/পিপিআর নামে আইনি প্রক্রিয়ার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে অযোগ্য (মূলত চীনা ও ভারতীয়) সরবরাহকারীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানানো হয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্রের সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়ার নাম করে বিদ্যুৎ খাতে যাবতীয় নিম্নমানের যন্ত্রপাতি, খুচরা যন্ত্রাংশ, নিশ্চয়তাহীন মেশিন ঢুকে গেছে। খুচরা যন্ত্রাংশ ও সাপোর্ট সিস্টেমের নামে ব্যালান্স অব প্ল্যান্ট (বিওপি) খাতে খরচ হয়ে যাচ্ছে শতকোটি ডলার। বিওপি বিদ্যুৎ বাজেট অপচয়ের আরেকটা বড় খাত। দরপত্রব্যবস্থায় মানহীন সরবরাহকারীদের কালো তালিকাভুক্তির বিধান দরকার।

নিম্ন জ্বালানি দক্ষতা ও নিম্ন প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরের বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

কয়েক ডজন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি দক্ষতা ৩০ শতাংশের কম, অর্থাৎ অনেক বেশি জ্বালানি পুড়িয়ে এরা খুব কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এতে আমদানিনির্ভর জ্বালানি সরবরাহের চাপ বাড়ে। বহু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যান্ট-ফ্যাক্টর কম বলে একটানা সচল থাকতে পারে না। বড় সমস্যা ক্যাপটিভের কয়েক হাজার জ্বালানি অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র। চরম জ্বালানি অদক্ষ সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাপটিভের কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ খাতের গলার ফাঁস। শীতের শেষে দেশে লোডশেডিং যত বাড়বে, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র তত বেশি চলবে, জ্বালানি অপচয় এবং জ্বালানি আমদানির সমস্যাও ততই প্রকট হবে।

ঘন ঘন বন্ধ থাকা কিংবা আংশিক সচল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে যেগুলোর তাপীয় দক্ষতা ভালো, সরকারি কিংবা বেসরকারি যাহোক, সেগুলো সচল রাখার পরিকল্পনা দরকার। ৪০ শতাংশের বেশি জ্বালানি দক্ষতা এবং ৮০ শতাংশের বেশি প্ল্যান্ট-ফ্যাক্টর রয়েছে, এমন কেন্দ্রকে কারিগরি এবং আর্থিকভাবে প্রাধান্য দিলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি অপচয় থামানো যাবে।

আগামী গ্রীষ্মের স্বাভাবিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহকে লক্ষ্য করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, তেল–গ্যাস সব ধরনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিবহনে দরকারি কারিগরি উদ্যোগ, ঋণপত্র খোলা এবং আর্থিক সংস্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের এনার্জি প্ল্যানিং দুর্বল। পুরো বছর কী পরিমাণে কয়লা, ফার্নেস তেল, গ্যাস লাগবে, সেটা আগেই হিসাব করতে হবে, যা তিন মাস পরপর আপডেট করা হবে। অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদনের এলএনজি আমদানির সাশ্রয়ী উৎস খুঁজতে হবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

শিল্পবিদ্যুতের বিল কমিয়ে জ্বালানি–অবান্ধব ক্যাপটিভ থামানো

শিল্পবিদ্যুতের দাম বেশি বলে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা নেই বলে ক্যাপটিভে চলে গেছে মাঝারি থেকে বড় শিল্প। শিল্পমালিকেরা দাবি করেন, নিজস্ব গ্যাস জেনারেটরে উৎপাদন খরচ সরকারি মূল্যের মাত্র ৩ ভাগের ১ ভাগ পড়ে (অবশ্য এখানে গ্যাসের মিটার ইউনিট চুরি ও ঘুষের বিষয় জড়িত আছে)। সরকারি শিল্পবিদ্যুতের উচ্চমূল্যে একদিকে শিল্পপণ্য উৎপাদনের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ক্যাপটিভের নিম্ন দক্ষতার জেনারেটরে বেশি জ্বালানি পুড়ে কম বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় বলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেশি জ্বালানি আমদানিতে ডলার ড্রেইনও হচ্ছে। ক্যাপটিভ বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে সুস্পষ্ট ‘শিল্প বিদ্যুৎ’ সঞ্চালন, বিতরণ ও শিল্পসহায়ক সাশ্রয়ী বিলিং নীতিমালা প্রয়োজন।

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলে সিস্টেম লস থামানো

২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বিদ্যুতের সিস্টেম লস দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। কারিগরি খাতে দীর্ঘ সঞ্চালন লাইনের লস ছাড়া অপরাপর উচ্চ সিস্টেম লস অগ্রহণযোগ্য। ছোট দেশ হিসেবে বাংলাদেশে লস সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হতে পারে, এর বেশি সিস্টেম লস মানেই চুরি। গ্যাস বিতরণ ও তেল বিতরণ খাতেও রয়েছে অযৌক্তিক সিস্টেম লস। কাঠামোগত সিস্টেম লসের ‘চুরি ও দুর্নীতি’ থামিয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ের স্বচ্ছ পরিকল্পনা দরকার। 

সবুজ বিদ্যুৎ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন

স্রেডা ও ইউএনডিপির তত্ত্বাবধানে তৈরি ‘ন্যাশনাল সোলার এনার্জি রোডম্যাপ ২০২১-৪১’ মতে, জমির স্বল্পতা সত্ত্বেও সৌরবিদ্যুতায়নের মধ্যমানের কৌশলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ২০ হাজার মেগাওয়াট সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। অন্যদিকে নদী অববাহিকা উন্নয়নের ৫ শতাংশ ভূমি, শিল্পাঞ্চলের রুফটপ ১৫ শতাংশ ভূমি প্রভৃতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সৌর স্থাপনা মডেলে এই সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছানো সম্ভব।

জ্বালানি আমদানিনির্ভরতা থেকে বের হতে চাইলে সরকারকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত বাস্তবায়নে ‘ন্যাশনাল সোলার এনার্জি রোডম্যাপ ২০২১-৪১’কে আলোর পথে নিতে হবে। বিদ্যুতের মাস্টারপ্ল্যান পিএসএমপি-২০১৬ মতে, ২০২১ সালের মধ্যেই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ মোট সক্ষমতার অন্তত ১০ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি-৭ মতে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য মোট ব্যবহৃত বিদ্যুতের ১২ শতাংশ নবায়নযোগ্য করার শর্ত আছে। বাংলাদেশ এলডিসি উত্তরণের শক্তিশালী প্রার্থী বলে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ১৭ শতাংশ নবায়নযোগ্য রাখার শর্ত মানা উচিত, যা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান অবস্থান (মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ) অগ্রহণযোগ্য।

‘সোলার হোম’ পলিসি সংস্কার করে ব্যক্তি খাতে বিদ্যুৎ বিক্রির বৈধতা

ব্যক্তিকে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি ও অবকাঠামো সহযোগিতা দিতে হবে। ব্যক্তি নিজস্ব বিনিয়োগে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ স্টোর করবেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করবেন। এ জন্য বিতরণব্যবস্থাকে স্মার্ট করতে হবে, এতে এই খাতে বিনিয়োগের বিপ্লব হবে। বিদ্যুৎ বিতরণকারী ডেসা-ডেসকো-পল্লী বিদ্যুৎ এখানে ফ্যাসিলিটেটর হবেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দ্বীপ এলাকায় খরুচে সঞ্চালন প্রকল্পে বিদ্যুৎ না নিয়ে বরং সেখানে নবায়নযোগ্য সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার ও প্রণোদনা দরকার। দরকার ব্যক্তি বিনিয়োগে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রির উপযোগী কমিউনিটি গ্রিড। সবুজ বিদ্যুতের সোলার প্যানেল, ডিসি বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ও ব্যাটারিতে শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া দরকার। সোলার বিনিয়োগের ব্যাংকঋণের নতুন মডেল দরকার, দরকার ব্যাটারি রিসাইকেল ব্যবস্থাকে পরিবেশবান্ধব করা। সবুজ বিদ্যুৎ বাড়লে জ্বালানি আমদানির চাহিদা কমে ডলার সাশ্রয় হবে। ভূমিস্বল্পতার বাংলাদেশে মানসম্পন্ন স্টোরেজসহ শহুরে ও গ্রামীণ সোলার হোমের ব্যাপক বিকাশ দরকার।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সমন্বিত ইকোসিস্টেম তৈরি

স্বল্প মেয়াদে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ধনিক শ্রেণির ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহন বাড়ানো, বাসেরসহ গণপরিবহনের টিকিট সস্তা করে, দূরপাল্লার ট্রেন বাড়িয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে অনুৎসাহ তৈরি করতে হবে। শিল্পে ও ব্যবসায় বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারবান্ধব শুল্কায়ন পলিসি প্রয়োজন। এসি, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ফ্রিজ, লিফট ইত্যাদিতে এনার্জি সেভিং যন্ত্র ব্যবহারে শুল্ক হবে। কম বিদ্যুৎ ব্যবহারে কম বিল, বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারে বেশি বিলের পরিবেশবান্ধব পলিসি সাজাতে হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে মৌখিক আহ্বানে কাজ হবে না; বরং একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে।


* ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব : টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক