'লাভ নেই' জেনেও খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিক্ষোভ
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার রাজধানীর গুলশানের কার্যালয়ে আজ রোববার সকালেও দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল শনিবার বিক্ষোভ চলাকালে ভেতর থেকে মাইকিং করে শান্ত থাকতে বলা হয়েছিল। আজ বলা হয়েছে, ‘এখানে বিক্ষোভ করে লাভ নেই।’ ভেতরের সেই ঘোষণাকারী কে, গতকালের মতো আজও তা জানা যায়নি।
গতকাল সন্ধ্যায় মনোনয়ন না পাওয়া এহছানুল হক মিলন, তৈমুর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা গুলশান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং কার্যালয় ভাঙচুর করেন। তাঁরা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন, ইটপাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে যায়। রাতেও তাঁদের এই বিক্ষোভ চলছিল।
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গতকাল রাতে মাইকিং করে বলা হয়েছিল, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে, তারেক রহমান বিদেশে। এ অবস্থায় আপনারা সবাই ধৈর্য ধরুন। আপনারা দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী।’
আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ আবদুল্লাহ এবং কুমিল্লা-৪ আসনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির সমর্থকেরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানব না।’
মুন্সিগঞ্জ-১ আসেন শাহ মোয়াজ্জেমকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। আর এর প্রতিবাদে গতকাল মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আবদুল্লাহর সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান। কাল বিকেলে কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়িবহরে হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় বহরের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং ১১ জন সমর্থক আহত হন।
আজ সকালে আবদুল্লাহর শ দুয়েক সমর্থক গুলশানের কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আজকের বিক্ষোভে শামিল হন কুমিল্লা-৪ আসনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির সমর্থকেরা। এই আসেন ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জেএসডির আবদুল মালেক রতনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের একজন বলছিলেন, ‘মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি চারবারের নির্বাচিত সাংসদ। বারবার তিনি দলকে জিতিয়েছেন। সেখানে একজন অচেনা লোককে মনোনয়ন দেওয়া হলো। এটা মানা যায় না।’
আজ বিক্ষোভ চলার সময় বেলা ১১টার পর কার্যালয়ের ভেতর থেকে মাইকে ঘোষণা আসে, ‘এখানে বিক্ষোভ করে লাভ নেই। এখান থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় না।’
এ ঘোষণা শোনার পর বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কার্যালয়ের ফটকে লাথি দিতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।