স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পের যাত্রা শুরু হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে এই তিন দিনব্যাপী জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প শুরু হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প’ (আইডিয়া) দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করছে প্রতিযোগিতাটি।
‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: চ্যাপটার টু’ আয়োজনের জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আগামীর লক্ষ্য বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) প্রকল্প সৃষ্টির মূল লক্ষ্য এই সক্ষমতা বৃদ্ধি।’
আইডিয়ার পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সৈয়দ মজিবুল বলেন, বাংলাদেশে একটি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে আইডিয়া। আমাদের মূল লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করা। স্কুল পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আসা অধিকাংশ স্টার্টআপগুলো ভালো করছে। স্টার্টআপগুলোর টিকে থাকার হার প্রায় ৯০ ভাগ। এবার যে ৭৫ দল জাতীয় ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে, তাদের অধিকাংশের প্রোডাক্ট বা প্রোটোটাইপ প্রস্তুত আছে।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্ভাবনী ভাবনা ও উদ্যোক্তা খোঁজার আয়োজনটি গত ১৫ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রায় ২৫০০ স্টার্টআপ তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রাথমিকভাবে ৮টি বিভাগের ২৪টি ভেন্যু থেকে ৭৫টি স্টার্টআপ বাছাই করা হয়। তাদের জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
‘আইডিয়া’ প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অভিজ্ঞ বিচারকদের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ। বিজয়ী ১০ স্টার্টআপের প্রতিটি ১০ লাখ টাকা করে 'বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট' হিসেবে সর্বমোট ১ কোটি টাকা অনুদান পাবে।