ফেসবুকের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় অভিযোগ
ফেসবুকের বিরুদ্ধে শিশুদের সঙ্গে প্রতারণার আরেকটি অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জেনেবুঝে তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশুদের গেম খেলার নামে প্রতারণা করে। তাদের মা-বাবার ক্রেডিট কার্ডের অর্থ খরচ হলেও ব্যবস্থা নেয় না।
কম বয়সী শিশুরা ফেসবুকে গেম খেলে সময় কাটায়। অনেক সময় বাবা–মায়ের ক্রেডিট কার্ড থেকে ব্যাপক খরচ করে ফেলে। গেমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক কিছু কেনে। একই ঘটনা বারবার জানা সত্ত্বেও ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বছরের পর বছর ধরে এ ‘বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতারণা’ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা বুঝতে পেরেছে, এ ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে গেলে তাদের মুনাফা কমে যাবে। তাই এ ধরনের প্রতারণায় ফেসবুকের অনুমতি রয়েছে। সম্প্রতি আদালত থেকে প্রকাশিত নথিপত্রে এ তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোডো।
২০১৬ সালের ফেডারেল কোর্টে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার নথিপত্র গত বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসের আদালতে করা ওই মামলায় ফেসবুকের বিরুদ্ধে শিশু-কিশোরদের ভাঙিয়ে অর্থ আয় করার অভিযোগ আনা হয়। শিশুদের শত শত টাকা অ্যাংরি বার্ডস বা অন্যান্য গেম খেলার জন্য খরচ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এতে দেখা যায়, মা-বাবার টাকা যাতে বেশি খরচ না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবলেও শেষ পর্যন্ত মুনাফা কমে যাওয়ার ভয়ে সে পথে হাঁটেনি ফেসবুক।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ফেসবুক বলেছে, ‘আমরা নিয়মিত আমাদের চর্চাগুলো পরীক্ষা করি। ২০১৬ সালে আমাদের নীতিমালা পরিবর্তনের সম্মত হয়ে অর্থ ফেরত দেওয়ার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল।’
ওই মামলার নথিপত্র এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ফেসবুক। গত বছরে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী পরামর্শক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে ফেসবুক থেকে তথ্য নিয়ে নির্বাচনী কাজে লাগানোর বিষয়টি ফাঁস হয়, যা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিতি হয়।
সম্প্রতি ফেসবুকের ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠছে। ওই প্রশ্নগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার মূলনীতিগুলো ব্যাখ্যা করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
আরও পড়ুন:
আমরা ব্যবহারকারীর তথ্য বিক্রি করি না