বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার সামিট
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত বৈজ্ঞানিক সুপার কম্পিউটার উন্মুক্ত করেছেন। এ সুপার কম্পিউটারটি প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব সম্পন্ন করতে পারে। শক্তি উৎপাদন, উন্নত পদার্থ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলোর গবেষণাকাজে এ কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (ওআরএনএল) তৈরি সুপার কম্পিউটারটির নাম ‘সামিট’। বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার টাইটানের চেয়ে এটি আট গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। নির্দিষ্ট কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে তিন বিলিয়নের বেশি হিসাব সম্পন্ন করতে পারবে এটি।
সুপার কম্পিউটারটি তৈরিতে মার্কিন কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম ও চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া একসঙ্গে কাজ করেছে। এটি মূলত আইবিএম এসি ৯২২ সিস্টেম, যাতে ৪ হাজার ৬০৮ কম্পিউটার সার্ভার রয়েছে। প্রতিটি সার্ভারে দুটি ২২ কোর আইবিএম পাওয়ার ৯ প্রসেসর ও ছয়টি এনভিডিয়া টেসলা ভি১০০ গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট অ্যাকসিলেটর রয়েছে।
সামিট আসার আগে বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের মালিক দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সামিটের মাধ্যমে আবার সুপার কম্পিউটারের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে ফিরছে দেশটি।
দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে আইবিএম ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সুপার কম্পিউটারটি উন্মুক্ত করে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার হচ্ছে চীনের সানওয়ে তাইহু লাইট। এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ২০০ পেটাফ্লপস বা প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব করার ক্ষমতা। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সামিট সুপার কম্পিউটারটি তাইহু লাইটের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে কাজ করতে সক্ষম হবে।
২০ কোটি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি সুপার কম্পিউটারটি কম বিদ্যুৎ খরচে চলতে সক্ষম। তাইহু লাইটে যেখানে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে, সেখানে সামিটে লাগবে ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বছরে দুবার গতির বিচারে সেরা ৫০০ সুপার কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করে টপ ৫০০ নামের প্রতিষ্ঠান। জার্মান এবং মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে টপ ৫০০। এ মাসের শেষ দিকে নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হলে সামিট সুপার কম্পিউটার হিসেবে শীর্ষে চলে আসবে।