সাকিবেই শেষ জিম্বাবুয়ে
সাকিব আল হাসান নিজেকে উজাড় করেই দিলেন তাঁর ফেরায়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্ট অঙ্গনে ফেরার মুহূর্তটিকে তিনি স্মরণীয় করে রাখলেন বল হাতেই। তাঁর ছয় উইকেট-কীর্তিতে মিরপুর টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।
পাঁচ উইকেট নেওয়া একজন বোলারের জন্য ব্যাট হাতে শতরান করার মতোই গৌরবের। সাকিব এই গৌরব গায়ে মাখলেন টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই। তাঁর অনন্য বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তরুণ জুবায়ের হোসেনের অভিষেক-কীর্তি। জীবনের প্রথম টেস্টে দুই উইকেট নিয়ে তিনি জানান দিয়েছেন নিজের অন্তর্ভূক্তির যথার্থতাকে। সঙ্গে ছিলেন বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দীর্ঘ দিন পর দলে ফেরা পেসার শাহাদাত হোসেনও মান রেখেছেন নির্বাচকদের আস্থার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই আঘাত হেনে তিনিই মূলত নামিয়ে এনেছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রাটা।
জুবায়ের–সাকিবে বিপদে জিম্বাবুয়েসাকিবের ছয় শিকার-হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, এলটন চিগুম্বুরা, রেগিজ চাকাভা, তিনাশে পানিয়াঙ্গারা , তাফাদজাওয়া কামুনগোজি ও জন নিউম্বু। ২৪.৫ ওভার বল করে মাত্র ৫৯ রান দিয়ে এসেছে এই ৬ উইকেট। পাঁচ মেডেনেই তিনি প্রস্তুত করেছিলেন তাঁর এই বোলিং-কীর্তির ক্ষেত্র।
অভিষিক্ত জুবায়ের তাঁর লেগ স্পিনে দারুণ বৈচিত্র্য হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন বাংলাদেশের বোলিংয়ে। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি সিকান্দার রাজা ও ব্রেন্ডর টেলরের জুটি ভেঙে খেলাটিকে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের অনুকূলে। তাঁর দ্বিতীয় শিকার ছিলেন ওই সিকান্দার রাজাই।
সাকিব-জুবায়েরে কিছুটা আড়ালে চলে যাওয়া তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ক্রেইগ এরভিনের উইকেটটি। এতকিছুর পরেও বাংলাদেশের আক্ষেপ থাকতে পারে ক্যাচিং নিয়ে। আজও বেশ কয়েকটি ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ওই ক্যাচগুলো নিতে পারলে জিম্বাবুয়ের ইনিংসটা হয়ত হতে পারতো আরও সংক্ষিপ্ত।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে একমাত্র ফিফটিটি পেয়েছেন সিকান্দার রাজা। ৫১ রান করে জুবায়েরের শিকার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কিন্তু খেলছিলেন দারুণই। রাজার পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানই নিজেদের ইনিংস শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই শুরুগুলোকে তাঁরা বড় ইনিংসে রূপান্তর করতে পারেননি।
এদিকে, জিম্বাবুয়ের ২৪০ রানের জবাব দেওয়াও শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই তামিম ইকবালকে হারিয়ে শেষ বিকেলে কিছুটা বিপাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১০ রান তুলতেই ব্যক্তিগত পাঁচ রানে তামিমকে হারানোটা নিশ্চয়ই বড় ধরনের ধাক্কাই। তাঁর উইকেটটি তুলে নিয়েছেন পানিয়াঙ্গারা।