জানুয়ারিতে ফিরছেন সানিয়া মির্জা
>সেই ২০১৭ সাল থেকে টেনিস থেকে দূরে আছেন সানিয়া মির্জা। এর মধ্যে পেয়েছেন মাতৃত্বের স্বাদ। অবশেষে ঘোষণা দিলেন, আর নয় অবসর। টেনিস কোর্টে ফিরছেন তিনি।
মা হয়েছেন গত বছরের অক্টোবরে। ঘর আলো করে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান ইজহান। সন্তানের কারণে নিজের পেশা ও নেশা থেকে দূরে ছিলেন প্রায় দুই বছর। কিন্তু আর না। এবার মাতৃত্বকালীন বিরতি থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
২০১৭ সালের অক্টোবরে চীন ওপেনে সর্বশেষ টেনিস কোর্টে দেখা গিয়েছিল সানিয়াকে। মরচে পড়া র্যাকেটটায় আবারও শাণ দেওয়া শুরু করেছেন তিনি। আগামী জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হোবার্ট ইন্টারন্যাশনাল দিয়ে টেনিসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন এই তারকা। দ্বৈত টেনিসে জুটি বাঁধবেন নারী টেনিসের র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ নম্বরে থাকা ইউক্রেনের নাদিয়া কিচোনেকের সঙ্গে।
হোবার্ট ইন্টারন্যাশনালে খেলার পর বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও খেলার ইচ্ছা আছে দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত মিলিয়ে ছয় বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকার, ‘হোবার্টে আমি খেলব, এরপর লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। মুম্বাইতেও একটি টুর্নামেন্টে খেলার ইচ্ছা আছে, তবে সেটার ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আমার কবজির ওপর নির্ভর করছে সেটা। তবে হোবার্ট ও অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত।'
পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিয়ে করা এই তারকা গত দুই বছর মাতৃত্বকালীন বিরতিতে কোর্টের বাইরে থাকলেও এখন নিজেকে পুরোপুরি ফিট বলেই দাবি করছেন, ‘সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অনেক কিছুই বদলে যায়। জীবনের নিয়মকানুন ও ঘুমের সময়ের পরিবর্তন আসে। তবে এখন আমি ফিট। সন্তান হওয়ার আগে যেমন ছিলাম, এখন নিজেকে ঠিক তেমনই ঝরঝরে মনে হচ্ছে।’
তবে শুধু মাতৃত্বকালীন বিরতিই নয়, গত কয়েক দিন সানিয়াকে টেনিস কোর্টের বাইরে রেখেছিল চিকুনগুনিয়াও, ‘কয়েক মাস আগে চিকুনগুনিয়াও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলাম। হুট করে কবজিতে ব্যথা ছিল কিছুদিন সে জন্য। দুই সপ্তাহের মতো অসুস্থ ছিলাম।’
শুধু দ্বৈত টেনিসই নয়, মিশ্র দ্বৈতেও কার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন, সেটা ঠিক করে ফেলেছেন সানিয়া। মিশ্র দ্বৈতে সানিয়ার সঙ্গী হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজীব রাম। হোবার্ট ইন্টারন্যাশনাল ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেললেও সানিয়া মূলত পাখির চোখ করেছেন অলিম্পিককে। আগামী বছর জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অলিম্পিক। আর সেখানে দেশের হয়ে পদক জেতার স্বপ্ন বুনছেন তিনি, ‘অলিম্পিকে তিনবার অংশ নিয়েছি আমি। শেষ বার দুর্ভাগ্যবশত আমরা পদক জিততে পারিনি। যদি আমি আবারও নিজেকে ফিট রেখে চতুর্থবারের মতো অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে সেটা হবে আমার জন্য গর্বের বিষয়। অলিম্পিকের আগে তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম পাচ্ছি, আমি সপ্তাহ ও দিন ধরে ধরে এগোতে চাই।’