ধারে খেলে বাংলাদেশ দলে
একেই বুঝি বলে কপাল! নিজের দল সাইফ স্পোর্টিং লিমিটেডের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না গোলরক্ষক পাপ্পু আহমেদ। মধ্যবর্তী দলবদলের সময় ধারে নাম লেখালেন মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডে। তাঁর বিশ্বস্ত হাতের কল্যাণে অবনমন অঞ্চল থেকে ঘুরে দাঁড়াল মোহামেডান। সেই সঙ্গে জাতীয় ফুটবল দলেও ডাক পেয়েছেন এই তরুণ।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে কাতার ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আজ ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সর্বশেষ আফগানিস্তান ম্যাচের ২৩ সদস্যের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে গোলরক্ষক পাপ্পু, শেখ জামালের সেন্টারব্যাক মনজুর রহমান মানিক ও বসুন্ধরা কিংসের স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজকে। এঁদের মধ্যে পাপ্পু এবারই প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন।
এর জন্য সাইফ স্পোর্টিংকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন পাপ্পু। লিগের প্রথম পর্ব শেষে অবনমন অঞ্চলে ছিল মোহামেডান। সেখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল একজন ভালো গোলরক্ষক। এ অবস্থায় ক্লাবকর্তাদের মাথায় আসে পাপ্পুর নাম। ভালো গোলরক্ষক হলেও যিনি কিনা নিজের দলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ব্যস, যোগাযোগ শুরু হয় পাপ্পু আর সাইফকর্তাদের সঙ্গে। ধারে পাপ্পুকে মোহামেডানে খেলতে দিতে কার্পণ্য করেননি সাইফ। তারই ফল পেলেন পাপ্পু।
জাতীয় দলে ডাক পেয়ে ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাপ্পু, ‘একটু আগেই সুসংবাদটি পেয়েছি। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় ভালো লাগছে। এ জন্য সাইফ ও মোহামেডান দুই ক্লাবকেই ধন্যবাদ। সাইফ না ছাড়লে আমি মোহামেডানের খেলতে পারতাম না।’ নতুন মৌসুমে সাইফের পোস্টের নিচেই দেখা যাবে পাপ্পুকে। তাঁর সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি আছে ২০২১ সাল পর্যন্ত।
>প্রায় তিন বছর পরে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন মোহামেডানে খেলা কেউ। যদি সাইফ স্পোর্টিং থেকে ধারে খেলতে না আসতেন পাপ্পু, তাহলে সেটাও সম্ভব হতো না
জাতীয় দলে পাপ্পুর ডাক পাওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রায় তিন বছর পরে জাতীয় দলে মোহামেডানের প্রতিনিধিত্ব। যদিও সাইফের খেলোয়াড় হওয়ায় তাঁকে সরাসরি মোহামেডানের ফুটবলার বলা যাচ্ছে না। কিন্তু মোহামেডানের জার্সিতে পাপ্পুর পারফরম্যান্সই তাঁকে এনে দিয়েছে জাতীয় দলের ডাক। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর এশিয়ান কাপ প্রাক্–বাছাইয়ে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে মোহামেডানের কোনো খেলোয়াড় ছিলেন দলে।
প্রাথমিক দল
গোলরক্ষক: আশরাফুল ইসলাম রানা, শহীদুল ইসলাম সোহেল, আনিসুর রহমান জিকো, পাপ্পু আহমেদ।
রক্ষণ: টুটুল হোসাইন বাদশা, সুশান্ত ত্রিপুরা, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, বিশ্বনাথ ঘোষ, রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, মনজুর রহমান মানিক ।
মধ্যমাঠ: মাসুক মিয়া জনি, জামাল ভুঁইয়া (অধিনায়ক), মামুনুল ইসলাম মামুন, সোহেল রানা, মোহাম্মদ রবিউল হাসান, বিপলু আহমেদ, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আক্রমণভাগ: মোহাম্মদ নাবীব নেওয়াজ জীবন, মহিবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়া, সাদ উদ্দিন, জুয়েল রানা, তৌহিদুল আলম সবুজ।