মেসি নন, রোনালদোকেই পছন্দ হলো ডি লিটের
>অবশেষে যবনিকাপাত ঘটল ডি লিট নাটকের। আয়াক্সের প্রতিভাধর এই ডিফেন্ডার সামনের মৌসুমে কোথায় যাবেন, এ নিয়ে বাঘা বাঘা ক্লাবের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর তাতে জয় হলো জুভেন্টাসের। লিওনেল মেসির বার্সা, ফন ডাইকের লিভারপুল, বেনজেমার রিয়াল, পগবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা নেইমারের পিএসজি নয়, ডি লিট আগামী মৌসুমে রোনালদোর সঙ্গে জুভেন্টাসে খেলবেন।
ছয় মাস ধরেই ডি লিটকে নিয়ে টানাটানি পড়ে গিয়েছিল। আয়াক্সের প্রতিভাধর দলটার সবচেয়ে দামি দুই রত্ন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং আর ম্যাথিস ডি লিট ক্যারিয়ারের পরবর্তী পদক্ষেপ কোন ক্লাবে নেবেন, এ নিয়ে আধা বছর ধরে কানাঘুষা চলছিল, পর্দার আড়ালে লড়াই করে যাচ্ছিল বিভিন্ন ক্লাব। ডি ইয়ং বার্সেলোনায় চলে গেছেন, শোনা যাচ্ছিল ডি লিটকেও বার্সাই নেবে। কিন্তু সেটা হলো না। ম্যাথিস ডি লিটকে দলে নিয়ে এল জুভেন্টাস।
যুগ যুগ ধরে বিশ্বমানের ডিফেন্ডার খেলানোর ক্ষেত্রে জুভেন্টাসের জুড়ি নেই। ক্লদিও জেন্টাইল, গায়েতানো চিরেয়া, ফ্যাবিও ক্যানাভারো থেকে শুরু করে এই যুগে আন্দ্রেয়া বারজাগলি, লিওনার্দো বোনুচ্চি ও জর্জো কিয়েল্লিনি—বহু বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার খেলে গেছেন এই ক্লাবে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন ডাচ্ তারকা ডি লিটও। কিয়েল্লিনি, বোনুচ্চি, বারজাগলি–ত্রয়ী বহু বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন জুভেন্টাসের হয়ে, বুড়ো হয়ে গেছেন। গত মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবসর নিয়ে নিয়েছেন বারজাগলি। জুভেন্টাসের তাই আদর্শ একজন ডিফেন্ডারের বড় দরকার ছিল। সে লক্ষ্যেই মূলত ডি লিটকে নিয়ে আসা। ১৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে কিনতে জুভেন্টাসের খরচ হয়েছে ৬৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড। গতকাল স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে তুরিনের বুড়িদের আপনজন হয়ে গিয়েছেন এই তারকা।
ডি লিটকে পাওয়ার জন্য অনেক ক্লাব লড়ছিল। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল লিওনেল মেসির বার্সেলোনা। ডি লিটকে পাওয়ার জন্য একদম শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছে তারা। রক্ষণভাগে জেরার্ড পিকের যোগ্য উত্তরসূরি হবেন ডি লিট, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। মাঝে কিছুদিন রিয়াল মাদ্রিদও ডি লিটকে নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। চেষ্টা চালিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও, নিজেদের ভঙ্গুর রক্ষণভাগকে ঠিক করার জন্য। কিন্তু সবাইকে হারিয়ে ডি লিটকে পাওয়ার দৌড়ে জিতেছে জুভেন্টাসই।