ফিফটির চক্করে পড়ে ৩১১তে থামল ইংল্যান্ড
৫০০ রান হবে কি না, সে আলোচনা চলছিল ম্যাচের আগে। বিশেষজ্ঞদের কথা মেনে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে দিক চিন্তা করে লাভ হয়েছিল দর্শকদেরই। বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটিং লাইনআপের ব্যাটিং দেখা যাবে শুরুতেই। রান–বন্যার আশায় চোখ চকচক করে উঠেছিল সবার। কিন্তু তা আর হলো কই। ৮ উইকেটে মাত্র ৩১১ রানে থেমে গেছে ইংল্যান্ড।
দায়টা ইংল্যান্ডকেই নিতে হবে। দলের টপ ও মিডল অর্ডারের চারজন ব্যাটসম্যানই দুর্দান্ত শুরু করেছেন। কিন্তু যখনই দ্রুত রান তোলার সময় এসেছে, তখনই বিদায় নিয়েছেন সবাই। বেন স্টোকসেরই শুধু ফিফটির পরই ড্রেসিং রুমের শীতল হাওয়া খাওয়ার ইচ্ছে হয়নি। না হলে ১১ জন ব্যাটসম্যান নিয়ে নেমেও ৩০০ ছুঁতেই কষ্ট হতো ইংল্যান্ডের।
দিনের প্রথম ওভারেই ইতিহাস গড়েছেন ইমরান তাহির। প্রথম স্পিনার হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম ওভার করতে পারার রেকর্ডের আনন্দও ম্লান হয়ে গেল পরের বলেই। দুর্দান্ত এক লেগ স্পিনে এ বিশ্বকাপের প্রথম গোল্ডেন ডাক পাইয়ে দিয়েছেন জনি বেয়ারস্টোকে। ইংল্যান্ডের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে আরেকজনই ফিফটির আগে ফিরেছেন। ইংল্যান্ডকে অবশ্য সেটাই বড় ধাক্কা দিয়েছে। চল্লিশ ওভারের একটু আগে নেমেছিলেন জস বাটলার। ফিফটি পেরোনো মরগান আউট হয়েছেন, তবু ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য স্কোর বেড়ে গিয়েছিল। কারণ বাটলার এসেছেন উইকেটে!
ইংল্যান্ডের সব আশা জলাঞ্জলি দিয়ে বাটলার (১৮) লুঙ্গি এনডিডির বল টেনে আনলেন স্টাম্পে। ইনিংসের তখনো ৫২ বল বাকি, ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ২৪৭। ক্রিজে পঞ্চাশ পেরোনো স্টোকস ছিলেন, তবু ইংল্যান্ডের ইনিংস আর গতি পেল না। অনেক চেষ্টা করে দলকে ৩০০ এনে দিয়ে ৪৯তম ওভারে বিদায় নিয়েছেন স্টোকস। সেঞ্চুরি দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ শুরু করার অসাধারণ এক সুযোগ হাতছাড়া করলেন মাত্র ১১ রানের জন্য। ৭৯ বলের ইনিংসে মাত্র ৯টি চার ছিল স্টোকসের।
এর আগে প্রথম ওভারে বেয়ারস্টোর হতাশা ভোলার ব্যবস্থা করেছিলেন জেসন রয় ও জো রুট। ১১০ বলে ১০৬ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেমেছে ফিকোয়াওর বলে। রয়ের (৫৪) বিদায়ের শোক সামলাতে না পেরে দুই বল পরেই বিদায় নিলেন রুট (৫১)! এর পর মরগান (৫৭) ও স্টোকস মিলে এনে দিয়েছেন আরেকটি ১০৬ রানের জুটি। ইমরান তাহিরকে মাঠজুড়ে দৌড়ে উদ্যাপনের সুযোগ করে দিয়ে মরগান ফেরার পরও ইংল্যান্ড হতাশ হয়নি। বাটলার তো নামছেন! কিন্তু তা আর হলো কই!