অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটারকে
আর দশটা বিয়ের চেনা ছবির চেয়ে এই ছবিটা আলাদা। এখানে বিয়ের লম্বা সাদা গাউন শুধু এক প্রান্তে নয়, দুই প্রান্তেই! হাতে হাত রেখে তাঁরা বললেন, ‘ইয়েস আই ডু’। হয়ে গেল হ্যালি জেনসেন আর নিকোলা হ্যানককের বিয়ে। প্রথমজন নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটার, দ্বিতীয়জন অস্ট্রেলিয়ার। সমলিঙ্গের এই বিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট–বিশ্বে। বিয়েটা ১২ এপ্রিল হলেও ইনস্টাগ্রামে তাঁরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন গতকাল।
নিকোলা আর হ্যালি দুজনে একসঙ্গে ঘর করছেন, তা অবশ্য অনেক দিন হলো। নারীদের বিগ ব্যাশে দুজন একসঙ্গে খেলতেন মেলবোর্ন স্টারসের হয়ে। হ্যালি পরে যোগ দিয়েছেন স্টারসের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেনেগেডসের দলে। দুজন অবশ্য এখনো এক দলে খেলেন, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নারী ক্রিকেট লিগে ক্যাপিটাল টেরিটরির হয়ে। দুজনের জাতীয় দল যদিও আলাদা। হ্যালির নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছে ২০১৪ সালে। নিকোলার এখনো অভিষেক হয়নি, তবে গত বিগ ব্যাশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে কড়া নাড়ছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের জন্য বিখ্যাত সানশাইন কোস্টে আয়োজিত এই আয়োজনে দুজনের পরিবারের অতিথি আর বন্ধুরা ছিলেন। পরে এক বিবৃতিতে হ্যালি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই বলে, ‘সানশাইন কোস্টে আমাদের জন্য বিশেষ এই দিনটায় যাঁরা হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। আমরা যখন পরস্পরের প্রতি নিজেদের ভালোবাসার বন্ধনটা আরও দৃঢ় করছিলাম, সেই মুহূর্তটায় কাছের সব মানুষকে পাশে পাওয়াটা সত্যিই সৌভাগ্যের।’
আর নিকোলা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘১২ এপ্রিল আমি আমার স্বপ্নের নারীটিকে বিয়ে করেছি। সেই দিনটা ছিল হাসি, আনন্দ আর অবশ্যই ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।’ দুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করছে অনেকে। এর মধ্যে আছে মেলবোর্ন স্টারসও।
২০১৩ সালের এপ্রিলে নিউজিল্যান্ড সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ের আইনগত বৈধতা দেয়। আর অস্ট্রেলিয়ায় সেটি বৈধতা পেয়েছে ২০১৭ সালে। এ নিয়ে নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে চতুর্থ জুটি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।