সব মাঠই রাসেলের কবজির মধ্যে!
>বিশ্বের যেকোনো মাঠেই ছক্কা মারার সামর্থ্য রাখেন আন্দ্রে রাসেল
কাল আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ২০৫ রান তাড়া করতে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আন্দ্রে রাসেল যখন উইকেটে এলেন, কলকাতা ২৬ বলে ৬৭ রানের দূরত্বে। এখান থেকে দলটি ম্যাচ জিতেছে ৫ বল হাতে রেখে। কলকাতার অবিশ্বাস্য এই জয়ের নায়ক আন্দ্রে রাসেল। ১৩ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে জিতিয়েছেন দলকে। রাসেল কার্যত ৯ বলেই ৪৭ রান করেছেন। আর দানবীয় ইনিংসটি খেলার পর বিশ্বের সব ক্রিকেট মাঠকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। বিশ্বের কোনো মাঠই নাকি তাঁর ছক্কা আটকাতে পারবে না!
প্রথম ৪ বলে ১ রান করেছিলেন রাসেল। এরপরই শুরু হয় ঝড়। দুটো ‘বিমার’ মারার জন্য ১৮তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং বাতিল করেন আম্পায়ার। ওভারের বাকি ডেলিভারিগুলো শেষ করতে এসে রাসেল-ঝড়ের মুখে পড়েন বেঙ্গালুরুর মার্কাস স্টয়নিস। আর পরের ওভারে টিম সাউদির ওপর দিয়ে যে ঝড় গেল, কিউই পেসারের তা ভুলতে সময় লাগবে। ১২ বলে কলকাতার দরকার ছিল ৩০। সাউদির ওই এক ওভারেই রাসেল তুলেছেন ২৮! বাকি ১ রান এসেছে শুভমান গিলের ব্যাট থেকে।
৭ ছক্কা আর ১ চারে ইনিংসটি সাজান রাসেল। এবার আইপিএলে সর্বোচ্চ ২২ ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। অবলীলায় ছক্কা হাঁকানোর জন্য এমনিতেই রাসেলের আলাদা খ্যাতি আছে। সেটি বিশ্বের যেকোনো মাঠে। কাল খেলা হয়েছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। এই মাঠের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার কিছু মাঠ অনেক বড়। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলোর উদাহরণ টেনে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ আছে, কিন্তু ওখানেও বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে নিজেই নিজেকে বিস্মিত করেছি। আমার জন্য সম্ভবত কোনো মাঠই বড় নয়। নিজের শক্তির ওপর আমার আস্থা আছে। ব্যাটের স্পিডও ভালো।’