আইপিএলের শুরুটাই ফ্লপ!
>মাত্র ৭০ রানে অলআউট কোহলির দল।
বিরাট কোহলিকে তাতিয়ে দেওয়া হয়েছিল ম্যাচের আগেই। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে তাঁকে কথা বলতে হয়েছে ব্যর্থতা নিয়ে। দশ বছর কেটে যাওয়ার পরও কেন শিরোপার দেখা পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, সে দায় কোহলির ওপরই দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। উত্তরটা ঝাঁজালই দিয়েছেন কোহলি। আরসিবির দুর্ভাগ্য, সে ঝাঁজ ম্যাচে টেনে আনতে পারেননি কোহলি। ভয়ংকর ব্যাটিং প্রদর্শনী দিয়ে ২০১৯ সালের আইপিএল শুরু হলো। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়েছে বেঙ্গালুরু।
প্রথমেই মনে জেগে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক। না, এটা আইপিএলের সর্বনিম্ন স্কোর নয়। এমনকি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরও নয়। ওতেই যে অনন্য অর্জনটা হলো না। আইপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর বেঙ্গালুরুর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও (৪৯) নিজেদের দখলেই রেখেছে তারা। শুধু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড রাজস্থান রয়্যাল (৫৮) নিজেদের কাছে রেখেছে। আজ ইনিংসের অনেক দীর্ঘ একটা সময় সেটা নিজেদের কাছে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছিল বেঙ্গালুরু। ভাগ্যিস, পার্থিব প্যাটেলের অমন রেকর্ড গড়তে আপত্তি জেগেছে।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন প্যাটেল। এ দীর্ঘ সময় মাঠে থেকেও তাঁর নামের পাশে মাত্র ২৯ রান। বলের সংখ্যা (৩৫) এর চেয়েও বেশি। তবু এই ইনিংসের জন্যই প্যাটেলের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে দল। প্যাটেলের সুবাদেই যে নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লিখতে হয়নি তাদের। দলের ১৬ রানে ফিরে গেছেন কোহলি। তখন কে জানত, উদ্বোধনী জুটিই ইনিংসের সেরা হবে! একের পর এক ব্যাটসম্যান এসেছেন আর চেন্নাইয়ের স্পিনারদের সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন। হরভজন সিং (৩ উইকেট), ইমরান তাহির (৩), রবীন্দ্র জাদেজাদের (২) বলের স্পিন, বাউন্স কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি দলটি। তারই ফল ১৭ বল হাতে রেখে ৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া। অবশ্য এমন ভয়ংকর ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পরও সর্বনিম্ন রানের শীর্ষ পাঁচ এড়াতে পেরেছে তারা, এটাই সান্ত্বনা!