আশরাফুলের হলোটা কী!
>আশরাফুল তাঁর সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটাও ভালো হয়নি, গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ফিরেছেন কোনো রান না করেই
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার কথা বলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। পুরো টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৩ ম্যাচ। এই ৩ ম্যাচে রান করেছিলেন ২৫। আশরাফুল আশা করেছিলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কাজে লাগাবেন। মোহামেডানের হয়ে এ টুর্নামেন্টেও ভালো করতে পারেননি। ২ ম্যাচে করেছেন ২১ রান। আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একদিনের ফরম্যাটে নামলেন। কিন্তু ভাগ্য বদলাল না। নিজের প্রথম ম্যাচেও আশরাফুলের শুরুটা হলো যাচ্ছেতাই, আউট হয়েছেন কোনো রান না করেই।
০, ০, ২১, ০—আশরাফুল তার সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে থিতু হওয়ার সময় থাকে না। উইকেটে গিয়েই শট খেলতে হয়। তাতে দ্রুত আউট হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। বোঝা গেল, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আশরাফুল এই ঝুঁকিটা নিতে পারেননি। কিন্তু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিশ্চয়ই ইনিংস গড়ার কাজটা টি-টোয়েন্টির তুলনায় একটু সহজ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে আশরাফুল এ ইনিংস গড়ার কাজটা করতে পারেননি। অথচ আজ তাঁর দারুণ সুযোগ ছিল নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার।
আশরাফুল ভালো করতে না পারলেও তাঁর দল মোহামেডান প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে। বিকেএসপিতে মোহামেডানের পেসার শফিউল ইসলামের তোপে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ৬ উইকেট হারিয়েছে ২৬ রানে। এই ৬ উইকেটের ৫টিই শফিউলের। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লড়াই চালান তৌহিদ তারেক ও শামসুল ইসলাম। দুজনের সপ্তম উইকেটে ১০১ রানের জুটি কোনোভাবে মান বাঁচায় গাজীর। তারেক আউট হয়েছেন ৫৬ ও শামসুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ রানে। ৪৫.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে গাজী টেনেটুনে করতে পারে ১৮২ রান।
১৮৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে মোহামেডানও। আশরাফুলের মতো ব্যর্থ হয়েছে দলের পুরো টপ অর্ডার। ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারানো মোহামেডানের সামনে যখন চোখ রাঙাচ্ছে পরাজয়, তখন পাল্টা প্রতিরোধ অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ব্যাটে। তাঁর অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসই উদ্ধার করে মোহামেডানকে। গাজী পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বীর মনটা খারাপ হতে পারে, ৮ ওভারে ১ মেডেনে ১৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবুও দল জিততে পারেনি। পারবে কী করে? ব্যাটসম্যানরা যে ভালো স্কোর এনে দিতে পারেননি। রাব্বির হতাশা আরও বাড়ছে। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু হলো না। আজ যে পেয়েও না-পাওয়ার দিন ছিল রাব্বির!
আজ পুরো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। মিরপুরে প্রাইম ব্যাংককে ১৯৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে খেলাঘর। এই লক্ষ্য পেরোতে ঘাম ছুটে গেছে প্রাইম ব্যাংকেরও। ১৮ বল আর ২ উইকেট হাতে রেখে কোনোভাবে জয়ের প্রান্তে পৌঁছেছে প্রাইম ব্যাংক। ফতুল্লায় শাইনপুকুরের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য প্রাইম দোলেশ্বর অবশ্য ছুঁয়েছে ৯ উইকেট হাতে রেখে।