মাশরাফি আর কী বলবেন!
>আবার সেই হার। শেষ ম্যাচের আগেই বাংলাদেশ সিরিজ হেরে গেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। কেন বাংলাদেশ টানা দুই ম্যাচে একই ব্যবধানে হারল, এর ব্যাখ্যা দিলেন মাশরাফি
নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতেই বলেছিলেন, ‘কোনো’ অজুহাত দিতে চাই না।’ আজ ক্রাইস্টচার্চে কী বলবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা? মাঠ বদলালেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবারও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা, আবারও নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হার।
গত ম্যাচে প্রস্তুতির ঘাটতি বলা গিয়েছিল। আজ তো সেটি বলার উপায় নেই। মাশরাফি তা বলছেনও না। টপ, মিডল অর্ডারে একটা লম্বা জুটি না হওয়ার কারণেই যে নিউজিল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া গেল না, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেটিই বলছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘হ্যাঁ, এটা আমার জন্য কঠিন একটা দিন ছিল। দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। আমাদের জুটিগুলো (মিডল অর্ডারে) ৩০ রানের বেশি হয়নি। এগুলো ৬০ রানের হলেও ম্যাচটা অন্য রকম হতে পারত। মিঠুন আজও ভালো করেছে। মোস্তাফিজ ভালো বোলিং করেছে।’
টানা দুটি ম্যাচ ৮ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ তো গেছেই, এখন ধবলধোলাই থেকে বাঁচতে পারে কি না, সেটাই প্রশ্ন। মাশরাফির কণ্ঠে হতাশা, ক্রাইস্টচার্চে যে ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ, এখান থেকে ইতিবাচক যে কিছু নেই বাংলাদেশের, ‘এই ম্যাচ থেকে নেওয়ার মতো ইতিবাচক তেমন কিছু নেই। আমাদের আসলে দল হিসেবে খেলতে হবে। আমরা ২২০-২৩০ রান করছি। কিন্তু করতে হবে ২৭০-২৮০। তখন লড়াই করতে পারব।’
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিয়ে অধিনায়কের আর কী বলার আছে! তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক গত ১০ বছরে অন্তত পাঁচবার, তরুণ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাব্বির-সৌম্যরও গত পাঁচ বছরে নিউজিল্যান্ডে তিনবার সফর করার সুযোগ হয়েছে। এরপরও কিউই পেসারদের সামলানোর কোনো উপায় জানা থাকবে না? ব্যাটিং ব্যর্থতায় নেপিয়ারের পর ক্রাইস্টচার্চে ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি ডানেডিনে যদি কোনো সান্ত্বনা খুঁজে পান মাশরাফিরা!