নীলফামারীর পর গোপালগঞ্জেও বসুন্ধরা
>গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
প্রশ্ন ছিল দুইটি। প্রথমত, অচেনা মাঠে বসুন্ধরা কিংস কি জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারবে? দ্বিতীয়ত ঘরের মাঠে মুক্তিযোদ্ধা কি পারবে নিজেদের দাপট ধরে রাখতে? গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দুটি প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। অথচ ম্যাচটির আগে এ দুই প্রশ্ন ছাড়াও চলছিল কত জল্পনা-কল্পনা।
টানা তিন জয় পেয়েছিল বসুন্ধরা। তবে তিনটি ম্যাচই ছিল নিজেদের পরিচিত মাঠে। নিজেদের হোম ভেন্যু নীলফামারীতে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ও নোফেলকে। আর ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে। বঙ্গবন্ধু হোম ভেন্যু না হলেও অপরিচিত নয়। তাই কিংসের জন্য গোপালগঞ্জের ম্যাচটি ছিল পরীক্ষার। মাঠটি আবার আয়তনে অপেক্ষাকৃত ছোট। অচেনা-অজানা মাঠে কেমন করে কলিনদ্রেস, মতিন মিয়ারা?
এর আগে নিজেদের ঘরের মাঠে একটি ম্যাচই খেলেছিল মুক্তিযোদ্ধা। সে ম্যাচে শেখ জামালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গোপালগঞ্জবাসীকে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কাইয়ুম সেন্টুর দল। আজও মাঠে দর্শক এসেছিল বেশ। কিন্তু আজ তারা দেখলেন মতিন মিয়াদের খেল। আজকের ম্যাচ দিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করেছেন মতিন। বসুন্ধরার অন্য গোল দুইটি সুশান্ত ত্রিপুরার ও দানিয়েল কলিনদ্রেসের।
৭ মিনিটেই ডিফেন্ডার সুশান্তের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। ১২ মিনিট স্থায়ী ছিল অস্কার ব্রুজোনের দলের মুখের হাসি। ১৯ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান জাপানি মিডফিল্ডার ইউসুকো কাতো। দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের পুরো পয়েন্ট নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় বসুন্ধরা। ৭০ মিনিটে মার্কোস ভিনিসিয়ুসের ক্রস থেকে গোলমুখ থেকে প্লেসিং করে ২-১ করেছেন মতিন। চার মিনিট পরেই ফ্রি কিক থেকে গোল করে ৩-১ করেছেন কলিনদ্রেস।
এ নিয়ে টানা চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বসুন্ধরা। আর পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে মুক্তিযোদ্ধা।