১০ লাখ টাকায় ৩৭.৪৯ একর জমি পেয়েছে বিসিবি
>পূর্বাচলে আগামী তিন বছরের মধ্যে অত্যাধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পন্ন করার কথা জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এ ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে নিজের উপলব্ধির কথাও জানালেন তিনি
ক্রিকেটের প্রতি মানুষের বিপুল আগ্রহ মাথায় রেখে পূর্বাচলে অত্যাধুনিক বিশাল এক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের কথা শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু সেটি হবে কবে? আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে তাঁরা স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পন্ন করতে চান।
পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণ নিয়ে আজ দুপুরে বোর্ড মিটিং শেষে কিছু বিষয় পরিষ্কার করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘৩৭.৪৯ একর জমি আমরা পেয়েছি। ১০ লাখ টাকায়। আমরা ঠিক করেছি এটির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র আহ্বান করব ডিজাইন এবং পরামর্শের জন্য। আগামী তিন বছরের মধ্যে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করতে চাই। পুরোটা করবে বিসিবি। সব খরচ আমরাই করব। দেখার মতো হবে। দর্শক ধারণ ক্ষমতা অন্তত ৫০ হাজার। স্টেডিয়ামের সঙ্গে একাডেমি থেকে শুরু করে ইনডোর, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম যা যা লাগে সব থাকবে। সঙ্গে পাঁচ তারকা মানের একটা হোটেলও ওখানে চাচ্ছি। আগে স্টেডিয়াম নিয়ে কাজ করব।’
এবং বিসিবি সভাপতির উপলব্ধি
অনেকেই বলেন বিসিবি সভাপতি ভীষণ সংবাদমাধ্যম-বান্ধব। সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘন ঘন আসেন। মন খুলেই কথা বলেন। নিজের ভাবনা অকপটে জানান। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কিছু চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেন, না হলেও নিঃসংকোচে বলে দেন।
বিসিবি সভাপতি সংবাদমাধ্যমে যে ‘কাভারেজ’ পান, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের আর কোনো ফেডারেশন কিংবা ক্রীড়া সংস্থার প্রধান এটা পান না। শুধু বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেট বোর্ডর প্রধান এতটা প্রচারের আলোয় আসেন কি না সন্দেহ!
কথা তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু বিসিবি সভাপতির বেশির ভাগ মন্তব্যে যে থাকে বিতর্কের উপাদান। কদিন আগে সাব্বির রহমানের অন্তর্ভুক্তি কিংবা ইমরুল কায়েসের দলে থাকা, না থাকা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সেটি নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। বোর্ডের প্রধান মুখ তিনি। তিনি যা বলবেন সেটিই যেন খবর! আর সেই খবরে যদি থাকে বিতর্কের উপাদান, সংবাদমাধ্যমও লুফে নেয় দারুণভাবে। আর এতে যেটি হয়, ক্রিকেটার, সংগঠক, সাংবাদিক কিংবা বিসিবির কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। ইমরুলকে নিয়ে সবশেষ যেটি হয়েছে।
এত কিছুর পর বিসিবি সভাপতির উপলব্ধি হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলা তাঁকে কমিয়ে দিতে হবে, ‘সেদিন খবর প্রকাশ হলো, ইমরুলকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে। এবং আমি নাকি এটা নিশ্চিত করেছি। আমার কাছে এখনো নামই আসেনি, কীভাবে নিশ্চিত করব? পর পর দুই ঘটনায় মনে হয়েছে আপনাদের (সংবাদমাধ্যম) সঙ্গে কথা বলায় সীমাবদ্ধতা আনা ছাড়া আমার কোনো পথ নেই।... অনেক সময় দিয়ে দেয় (ভুল খবর)। বলার পর ঠিক করা হয়। যখন ঠিক করা হয় তখন তো রাগ হতেই পারে। যা হওয়ার তো হয়েই গেল। মাঝখান থেকে ইমরুলের এখন বাদ পড়ার সম্ভাবনা। কার লাভ হলো এতে?’