রোনালদো-নেইমার নন, মেসির সঙ্গে লড়াইটা এমবাপ্পের

মৌসুমের এখনো ঢের বাকি। তবে পুরো মৌসুমে লিগে সবচেয়ে বেশি গোল করে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু কে জিততে পারেন, সেই অনুমান এখনই কিছুটা করা যায়। ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায়ে মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের এই পুরস্কার সর্বশেষ দুবারই জিতেছেন লিওনেল মেসি। এবারও তিনিই শীর্ষে। তবে মেসির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে।
পরশু জিরোনার বিপক্ষে এক গোল নিয়ে লা লিগায় ১৯ ম্যাচে মেসির গোল হয়েছে ১৯টি। ওদিকে একই রাতে রেনের বিপক্ষে এক গোলের পর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ১৫ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল ১৮টি। এই দুজনের পরে আছেন লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ, পিএসজির এডিনসন কাভানি ও সাম্পদোরিয়ার ফ্যাবিও কোয়ালিয়ারেল্লা। এই তিনজনেরই গোল ১৬টি করে। তবে সালাহ যেখানে ২৩ ম্যাচ খেলেছেন, কোয়ালিয়ারেল্লা ২০ আর কাভানি ১৪ ম্যাচ খেলেছেন।
প্রতি মৌসুমে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বিন্দ্বী এত দিন একটি নামকেই দেখা গেছে—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে এবার রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যাওয়ার পর অন্যবারের তুলনায় গোল কিছু কম পাচ্ছেন রোনালদো। তবে খুব যে পিছিয়ে আছেন, তা নয়। ইতালিয়ান লিগে গোল পাওয়া কঠিন, এরপরও জুভেন্টাসের হয়ে এরই মধ্যে ২১ ম্যাচে ১৫ গোল রোনালদোর। পরশু রোনালদোর একটি পেনাল্টি গোলেই জুভেন্টাস হারিয়েছে লাৎসিওকে।
ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুর জন্য প্রতিটি লিগের উয়েফা রেটিং অনুযায়ী প্রতি গোলের জন্য পয়েন্ট দেওয়া হয়। মৌসুম শেষে মোট পয়েন্টে যিনি এগিয়ে থাকেন, তাঁর হাতেই ওঠে এ পুরস্কার। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগে সবগুলোতেই অবশ্য প্রতি গোলের জন্য দুই পয়েন্ট করে পান খেলোয়াড়েরা।
ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুর লড়াইয়ে শীর্ষ পাঁচ:
খেলোয়াড় | গোল | পয়েন্ট |
লিওনেল মেসি | ১৯ | ৩৮ |
কিলিয়ান এমবাপ্পে | ১৮ | ৩৬ |
এডিনসন কাভানি | ১৬ | ৩২ |
ফ্যাবিও কোয়ালিয়ারেল্লা | ১৬ | ৩২ |
মোহাম্মদ সালাহ | ১৬ | ৩২ |